সুনীত হালদার, হাওড়া: অবিরাম বৃষ্টি। বেহাল দশা হাওড়ার বিভিন্ন অঞ্চলের। অতিবৃষ্টির কারণে হাওড়া শহরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ রাস্তা গিয়েছে ভেঙে। বেশিরভাগ রাস্তায় বড় বড় গর্ত ! চাঙ্গর উঠে গেছে। গাড়ি চালানো একরকম বিড়ম্বনা । বারবার গর্তের মধ্যে পড়ছে গাড়ি-সাইকেল। ঝুঁকি নিয়েই গাড়ি চালাচ্ছেন চালকরা।
পুজোর আগে যাতে দ্রুত ভাঙা রাস্তা মেরামত করা যায়, তা নিয়ে ব্যবস্থা নিতে চলেছে হাওড়া পুরসভা। রবিবার রাত এগারোটা নাগাদ, হাওড়া পুরসভার বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের চেয়ারম্যান ডা. সুজয় চক্রবর্তীর নেতৃত্বে পুরসভার কমিশনার এবং ইঞ্জিনিয়ররা বিভিন্ন এলাকা রাস্তা পরিদর্শন করেন। সুজয় চক্রবর্তী বলেন, এবার অতিরিক্ত বর্ষণের জন্য বিভিন্ন রাস্তায় জল জমেছে। তাতে বিশেষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাস্তাঘাট। বারবার দুর্যোগের ফলে রাস্তা মেরামতের কাজও ব্যাহত হয়েছে। বিভিন্ন রাস্তায় জল জমে যাওয়ার ফলে কাজ বন্ধ ছিল।
আরও পড়ুন :
East Midnapore : পাঁশকুড়ায় কংসাবতী নদী তীরবর্তী এলাকায় ধস, নদীগর্ভে দোকান-ঘর
গত দুই তিন দিন বৃষ্টি থেমে যাওয়ার জন্য যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু হয়েছে। পুজোর আগে যতটা সময় পাওয়া যাচ্ছে সেই সময়ে হাওড়া শহরের মূল রাস্তাগুলি সারিয়ে দেওয়ার কাজ চলবে। তিনি আরও বলেন, যেসব জায়গায় এখনও জল জমে রয়েছে সেই সব জায়গায় জেট সাকশান মেশিন দিয়ে জল সরিয়ে রাস্তা সরানো হবে। বোর্ড অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটর্সের ভাইস চেয়ারম্যান দেবাংশু দাস বলেন ' রাস্তা দিয়ে ভারী গাড়ি যাওয়ার ফলে রাস্তা ভেঙে যাচ্ছে। পুজোর আগে ভাঙা জায়গাগুলোতে মেরামতি করে দেওয়া হবে। পরে রাস্তাগুলোকে ঢালাই করে পাকাপাকি মেরামতি করা হবে।'
বৃষ্টি কমলেও জল যন্ত্রণার ছবিতে বদল নেই হাওড়ার আমতা, উদয়নারায়ণপুরে। কৃষিজমি, রাস্তা থেকে বসতবাড়ি সর্বত্র জল থইথই। ব্যপক ক্ষতি কৃষিকাজেও। দামোদরের জল রামপুর খাল হয়ে নিচু এলাকায় ঢোকার ফলে জলযন্ত্রণা আরও বেড়েছে।রবিবার আমতার বিধায়ক সুকান্ত পাল সেচ দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বাঁধ মেরামতির তদারকি করেন।