কলকাতা : ছোটবেলা কেটেছে হাওড়ার লিলুয়াতেই। বরাবরই একটু টম-বয়-সুলভ ইমন। পাড়ার দাদারাই ছিল বেশি বন্ধু। তাঁদের সঙ্গে ক্রিকেট খেলতেন চুটিয়ে। প্যান্ডেলে আড্ডা, ক্যাপ ফাটানো ... ফুটবল খেলা...সবকিছুই ছিল বাঁধন ছাড়া। সবথেকে বেশি পছন্দ প্যান্ডেলে ব্লিচিং পাউডারের গন্ধ। ওই গন্ধটা পেলেই এখনও মনটা ছোটবেলার পুজোয় চলে যায়। একাল-সেকাল মিলিয়ে দেয় ওই গন্ধ। ছোটবেলার পুজোর কথা বলতে গিয়ে নস্টালজিক সঙ্গীত শিল্পী ইমন চক্রবর্তী। 

২০২১ সালে ফেব্রুয়ারিতে সাতপাকে বাঁধা পড়েছেন ইমন-নীলাঞ্জন। বিয়ের পর এইবছরই প্রথম দুর্গাপুজো, প্রথম সিঁদুর খেলা। কী প্ল্যান পুজোর ? কী করবেন ? নীলাঞ্জনের সঙ্গেই নিশ্চয়ই কাটাবেন পুজোটা ? এবিপি লাইভের কাছে মন খুললেন সঙ্গীতশিল্পী ইমন চক্রবর্তী। জানালেন, পুজোর গানের কথা। ছোটবেলার পুজোর গল্প। শিল্পী বললেন, সারাবছরই এখন সাজগোজ চলে, অনুষ্ঠান করতে হয়। তাই পুজোয় নতুন জামা কেনা ও পরার এক্সাইটমেন্ট এখমন ম্লান। পুজোর আনন্দ তো আছেই, তবে ' এবারের পুজোটা একসঙ্গে কাটানো হচ্ছে না। কাজের জন্য থাকতে হচ্ছে কলকাতার বাইরেই। নীলাঞ্জন পুজোয় কলকাতা ছেড়ে কোত্থাও যান না। থাকছেন পরিবারের সঙ্গেই। তবে যেখানেই থাকি সিঁদুর তো খেলবই।' ইমন জানালেন, পুজোর কেনাকাটা তেমন হয়ে ওঠেনি। তবে করতে তো হবেই। 


পুজোর গান বের হচ্ছে। 'ইচ্ছে ডানা'। লিখেছেন মানিক বেরা। সোমবারই, ৪ অক্টোবরই মুক্তি পাচ্ছে গান - 'সেদিনের মতোই আজও শরত-রঙিন পরিবেশ, আমি যদি পাখি হতাম উড়ে যেতাম বেশ' । গানের কথা, কম্পোজিশন সবই নীলাঞ্জন ঘোষের। ইউটিউবে মুক্ত পাচ্ছে গানটি। অডিও ক্যাসেট, ডিভিডির দিন এখন প্রায় আর নেই। একক গান মুক্তি পায় ইউটিউব প্ল্যাটফর্মে। তবে তা নিয়ে আক্ষেপ তো নেইই, বরং ভাল গান শ্রোতা শুনবেন, তাই নিয়েই এক্সাইডেট ইমন। বিশ্বাস করেন, অন্ধকার সময় একদিন কেটে যাবে, ভাল গান থেকে যাবেই। যদিও সঙ্গীতশিল্পীর আক্ষেপ, এখনও পর্যন্ত অতিমারীর দাপটে খোলা মঞ্চে অনুষ্ঠান তেমন হচ্ছে না। টানা দুইবছর রোজগারের অভাবে খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছেন সঙ্গীতদুনিয়ার অনেকেই। সরকার একটু উদ্যোগী হলে এই সঙ্কটকাল কাটতে পারে, বিশ্বাস তাঁর। যেখানে সবকিছুই এখন কোভিড বিধি মেনে চলছে স্বাভাবিক ভাবে, তাহলে কেমন হবে না সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান? প্রশ্ন শিল্পীর। 

ইমন জানালেন, বাজল তোমার আলোর বেণু সারা বছরই মনে বাজতে শুরু করেছে। কলকাতা থেকে যতদূরেই থাকুন না কেন, গানের সুরই তাঁকে বেঁধে রাখবে বাংলার আশ্বিনের শারদ প্রকৃতির সঙ্গে।