সৌমিত্র রায়, রানা দাস, হাওড়া: বাংলায় এসেছেন। আর বাঙালির ঐতিহ্যের রসগোল্লা চেখে দেখবেন না, তা আবার হয় নাকি! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিশ্বকাপজয়ী প্রাক্তন অধিনায়ক কিংবদন্তি ক্লাইভ লয়েড। হাওড়ার (Howrah) সাতগাছিয়া উচ্চ বিদ্যালয়ে প্ল্যাটিনাম জুবিলি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন বিশেষ অতিথি হিসেবে। এমন অতিথির আতিথেয়তায় কোনও ত্রুটি রাখলে হয় নাকি। লয়েডের জন্য খাবারের পাতে ছিল নলেন গুড়ের রসগোল্লা, মাখা সন্দেশ, বিরিয়ানি, দু রকমের পাস্তা, ফ্রুটস, ফিশ ফিঙ্গার ও কাবাব। রসগোল্লার দেখে নিজেকে সামলে রাখতে পারলেন না কিংবদন্তি। তৃপ্তি করে খেলেন বেশ কয়েকটি রসগোল্লা। প্রশংসা করলেন বাংলার রসনাতৃপ্তির এই অসাধারণ সৃষ্টির।  


কলকাতায় এসেছেন লয়েড একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে। তার ফাঁকেই এদিন স্কুলের এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। সকাল থেকেই কিংবদন্তি তারকাকে দেখতে ভিড় বাড়ছিল স্কুলের মাঠে। লয়েড মাঠে ঢুকতেই সেলফির জন্য, একবার ছুঁয়ে নেওয়ার কাতর আবেদন সবার। এদিনের ফাইনাল খেলায় অংশ নিয়েছিল আয়েদা মিলনী সংঘ একাদশ ও চন্দননগর বয়েজ স্পোর্টিং ক্লাব। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে বোর্ডে ১৬২ রান তুলে নেয় আয়েদা মিলনী সংঘ। জবাবে রান তাড়া করতে নেমে ১৮.৩ ওভারে ১৬৩ রান বোর্ডে তুলে নেয় চন্দননগর স্পোর্টিং ক্লাব। 


এদিকে, সকালে এক অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন লয়েড। সেখানে বিরাট কোহলির প্রংসা শোনা গেল ২ বারের বিশ্বকাপজয়ী ক্যারিবিয়ান অধিনায়কের মুখে। লয়েড বলছেন, ''আমি জানি না ওর বয়স কত। আর কতদিন খেলবে ও। কিন্তু এখনও অনেকটাই কম বয়স ওর। আমার মনে হয় আরও বেশ কিছুদিন খেলতে পারবে বিরাট। তাতে আরও অনেক রেকর্ড আছে যা ও চাইবে নিজের দখলে করে নিতে পারবে। সেই ক্ষমতা ওর রয়েছে।'' ভিভ রিচার্ডস না বিরাট কোহলি। একজনের সঙ্গে খেলেছেন। আরেক জনকে দেখছেন। কাকে এগিয়ে রাখবেন? লয়েড বলছেন, ''দুজনের তুলনা হতে পারে না। ওরা দুজন ভিন্ন ঘরানার প্লেয়ার। যখন ভিভ খেলতে, ওর খেলা উপভোগ করতাম। আর এখন বিরাটকে যত দেখি মুগ্ধ হই। বর্তমান প্রজন্মের সেরা ব্যাটার।''


সাম্প্রতিক সময়ে টেস্ট ক্রিকেটের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেকেই প্রশ্ন তুলেছেন। টি-টোয়েন্টি ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগকে দায়ীও করেছেন এবি ডিভিলিয়ার্সের মত তারকা। এবার সেই সুরেই সুর মেলালেন লয়েড। তিনি বলেন, ''এই মুহূর্তে চারিদিকে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। সবাই টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট নিয়েই কথা বলে। কিন্তু আমি মনে করি যদি টেস্ট ক্রিকেটের জনপ্রিয়তা বাড়াতে হয়, তবে টেস্ট ক্রিকেট আরও বেশি করে বছরে খেলতে হবে প্রতিটি দলকে। বিশেষ করে তিন ম্য়াচের বা পাঁচ ম্যাচের সিরিজের কম কোনও সিরিজই খেলা উচিত নয়।''