সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ার শিবপুরে তরুণের রহস্যমৃত্যু। গলায় লোহার তার পেঁচানো থাকায় খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। মৃতের চার বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। পরিবারের দাবি, সন্ধে থেকেই খোঁজ মিলছিল না ১৮ বছরের মহম্মদ রইস আজামের। রাত ১২টা নাগাদ বাড়ির কাছেই শিবপুরের বিপ্রদাস চ্যাটার্জি লেন থেকে রক্তাক্ত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ সূত্রে খবর, ক্ষুর দিয়ে গলার নলি কাটার চেষ্টা হয় তরুণের, গলায় পেঁচানো ছিল লোহার তার। দেহের একাধিক জায়গায় মেলে আঘাতের চিহ্ন। মদের আসরে বচসার জেরেই খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান পুলিশের। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ রয়েছে কিনা, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগে মাকে কুপিয়ে আড়াই বছরের শিশুকে জলে ডুবিয়ে খুনের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। নৃশংস খুনের ওই ঘটনাটি ঘটেছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার ঢোলাহাট থানা এলাকায়। অভিযোগ, মুখে কাপড় বাঁধা জনাচারেক দুষ্কৃতী বাড়িতে ঢুকে গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করে। সেই সময় বাড়িতে গৃহস্বামী ছিলেন না। ওই গৃহবধূর আড়াই বছরের ছেলের দেহ উদ্ধার হয় বাড়ির পাশের পুকুর থেকে। স্থানীয় সূত্রে খবর, মৃত গৃহবধূর স্বামীর দুটি বিয়ে। প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল।ঢোলাহাট থানার নেতাজি গ্রাম পঞ্চায়েতের বাংলারমোড় এলাকায় এই ঘটনায় একত্রিশ বছরের মঞ্জু্য়ারা বিবি ও মীজানুর পাইকের মৃত্যু হয়। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে মঞ্জুয়ারার স্বামী আনোয়ার হোসেন পাইকের দুই বিয়ে। মঞ্জুয়ারা দ্বিতীয় পক্ষের স্ত্রী। একাধিক কারণে প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে বিবাদ চলছিল আনোয়ারের। সেই কারণেই জোড়া খুন কিনা, খতিয়ে দেখছে ঢোলাহাট থানার পুলিশ। জানা গেছে, ঘটনার দিন মধ্যরাতে জনা চারেক দু্ষ্কৃতী মুখ ঢাকা অবস্থায় এসে মঞ্জুয়ারাকে আক্রমণ করে। সেইসময় আনোয়ার বাড়ি ছিলেন না। গৃহবধূকে কুপিয়ে খুন করে দুষ্কৃতীরা। এরপর তাঁর আড়াই বছরের সন্তানকে বাড়ির পাশের একটি পুকুরে ছুঁড়ে ফেলা হয় বলে অভিযোগ । পুকুর থেকে ওই শিশুর দেহ উদ্দার করা হয়। এই নৃশংসা ঘটনার জেরে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে।