পার্থপ্রতিম ঘোষ, হাওড়া: শিবপুরে ব্যবসায়ীর বাড়িতে আক্ষরিক অর্থেই যকের ধনের হদিশ মিলল (Howrah Businessman)। টাকার অঙ্ক ১০০ কোটি পার করে গেল (Howrah Money Trail)। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, একাধিক অ্যাকাউন্টে কয়েক মাসের মধ্যেই ১৩৪ কোটির লেনদেন হয়। যত সময় যাচ্ছে, টাকার অঙ্ক বেড়েই চলেছে।
কোথায় গিয়ে দাঁড়াবে টাকার অঙ্ক!
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে (Kolkata Police), হাওড়ায় ব্যবসায়ীর ১৭টি অ্যাকাউন্ট থেকে ৫৭ কোটির লেনদেন হয়েছে। আরও অজস্র অ্যাকাউন্ট থেকে ৭৭ কোটির লেনদেনের হদিশ মিলেছে। এর মধ্যে শুধু সেপ্টেম্বরেই ৭৭ কোটির লেনদেন হয়েছে। তার আগে ৫৭ কোটির লেনদেন হয়। ওই অ্য়াকাউন্টগুলির লেনদেনের উপর নজরদারি চালিয়ে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা।
তদন্তে আরও একটি বিষয় উঠে এসেছে, তা হল, স্ট্র্যান্ড রোডের ঠিকানা দেখিয়ে এর আগে কানাড়া ব্যাঙ্কে অ্যাকাউন্ট খোলা হয়েছিল। তার জেরে আয়তর দফতরের আধিকারিকরাও স্ট্র্যান্ট রোডের ওই ঠিকানায় হানা দেন মাস খানেক আগে। সে বার ওই ঠিকানা থেকে নগদে ল৬ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছিল।
এই কোটি কোটি টাকার উৎস কী, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। এখনও পর্যন্ত তদন্তকারীরা যে তথ্য হাতে পেয়েছেন, সেই অনুযায়ী, অনলাইন মাধ্য়মে চিটফান্ড কারবার চলছিল। সেই সংক্রান্ত একটি অ্যাপের হদিশও মিলেছে। আমেরিকা বলে দেখানো হলেও আদতে সেটি নাইজিরিয়া থেকে চালানো হত বলে জানা গিয়েছে।
ওই অ্যাপটি কে ডেভলপ করল, কোথা থেকে পরিচালনা হত, সেটি ডাউনলোডের বিধিনিয়ম কী, সেই সংক্রান্ত বিশদ তথ্য হাতে পেতে গুগল-কে চিঠি দিয়েছে কলকাতা পুলিশ। একই সঙ্গে এই ঘটনায় নেপাল সংযোগও উঠে আসছে। জানা যাচ্ছে, অ্যাপটির প্রচারে বহু মানুষকে ফোন করা হয়। সেই ফোনগুলি মূলত নেপাল থেকেই এসেছিল। তাই এই টাকা উদ্ধারের ঘটনায় আন্তর্জাতিক চক্রের সংযোগ রয়েছে বলেও মনে করছে পুলিশ।
তথ্য পেতে গুগলকে চিঠি কলকাতা পুলিশের
তবে এখনও পর্যন্ত পাণ্ডে ব্রাদার্সের কোনও হদিশ নেই। তাঁদের বিরুদ্ধে জারি হয়েছে লুকআউট নোটিস। নানা জায়গায় এখনও তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। এখনও নানা জায়গায় তল্লাশি চলছে। আরও টাকা মিলতে পারে বলে আশাবাদী পুলিশ। এর আগে, শিবপুরে তাঁদের দু'টি ফ্ল্যাট থেকে ৮ কোটির বেশি নগদ উদ্ধার হয়।