কলকাতা:  শিবপুরকাণ্ডের পর সাংবাদিক বৈঠকে শুভেন্দু। শাসকদলকে তীব্র আক্রমণ শানিয়ে, 'তোষণের রাজনীতি তৃণমূল নেত্রীর' নিশানা রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। তিনি বলেন, 'ধর্নামঞ্চ থেকেই রামনবমী নিয়ে আক্রমণ করেন মমতা।'


সাংবাদিক বৈঠকে এদিন শুভেন্দু, এর কারণ ব্যাক্ষা করে, 'দিদি তথাকথিত ধর্নার মঞ্চ থেকে পরশুদিন, রামনবমীর অনুষ্ঠানকে, তার শোভাযাত্রাকে , রামনবমী পালনকে সকলের সামনে ব্যপকভাবে আক্রমণ করেছিলেন। আপনাদের জেনে রাখা দরকার রামনবমী কোনও রাজনৈতিক দলের কর্মসূচি ছিল না। গত দু-তিন মাস ধরে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ, হিন্দু জাগরণ মঞ্চ, এবং অসংখ্য সনাতন ধর্মকে রক্ষা করার সংগঠনগুলি, দলমত নির্বিশেষে সবাইকে নিয়ে এই রামনবমীর অনুষ্ঠান, কোভিড পরবর্তী সময়ে, যেহেতু সব বিধিনিষেধ উঠে গিয়েছে, বিপুল উৎসাহ , উদ্দীপনার সঙ্গে পালনের প্রস্তুতি নিয়েছিল।'


উল্লেখ্য, হাওড়া ও ডালখোলায় রাম নবমীর মিছিলের উপর হামলার অভিযোগে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর। ঘটনার এনআইএ তদন্ত দাবি করেছেন শুভেন্দু অধিকারী। অশান্ত এলাকাগুলিতে অবিলম্বে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি জানিয়েছেন তিনি। আগামী সোমবার এই মামলার শুনানি, ট্যুইট করে জানালেন শুভেন্দু অধিকারী। 






 প্রসঙ্গত,  রামনবমীর ( Ramnavmi ) মিছিল ঘিরে পাছে কোনও অশান্তি বাঁধে, তাই আগে থেকেই বারবার সতর্ক করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। ২৯ ও ৩০ তারিখ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ( Mamata Banerjeee ) ধর্নামঞ্চ থেকে বলেন, মিছিল হবে, তবে তা যেন কোনও অশান্তিকে ইন্ধন না জোগায়। মিছিলের জন্য নির্ধারিত রুট মেনে চলার কথাও বারবার বলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু তা সত্ত্বেও রামনবমীর বিকেলে বড় রকমের অশান্তির সাাক্ষী থাকল হাওড়ার শিবপুর অঞ্চল। সেই অশান্তি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আনতে পেরেছে পুলিশ ? শিবপুরে হিংসার পর এবিপি আনন্দ-র সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট সুমন দে-কে ( Suman De ) দেওয়া এক্সক্লুসিভ টেলিফোনিক সাক্ষাৎকারে মুখ খুললেন মুখ্যমন্ত্রী। 


আরও পড়ুন, শিবপুরকাণ্ডে ৫ কোম্পানি CRPF-র মোতায়েনের দাবি শুভেন্দুর


মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, 'বারবার তিনি সনির্বন্ধ অনুরোধ জানিয়েছিলেন শান্তিপূর্ণভাবে রামনবমীর মিছিল করার। সেই সঙ্গে চলছে রমজান মাসও। দুই-ই যাতে শান্তিতে পালিত হয়, তার জন্য আবেদন করেছিলেন তিনি। কিন্তু এর পিছনে বিজেপির ষড়যন্ত্র দেখছেন তিনি। মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, ' ধর্ম কখনও অশান্তিকে প্রশ্রয় দেয় না, ধর্ম শান্তির কথা বলে, কিন্তু বিজেপির এটা প্ল্যান ছিল, যেমন করে হোক দাঙ্গা লাগাবে। গতকাল বিজেপি দেশের প্রায় ১০০ টা জায়গায় করে। হাওড়ার ঘটনাটা খুব দুর্ভাগ্যজনক।'