সুনীত হালদার ও ময়ূখ ঠাকুর চক্রবর্তী, কলকাতা ও হাওড়া: রায়নায় হাওড়ার ব্যবসায়ী খুনে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল পুলিশের হাতে। জানা গিয়েছে, সম্পত্তি বিবাদে আগেই খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন বড়বাজারের ব্যবসায়ী। অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কাকা ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। 


গত ৮ অগাস্ট ব্যবসায়ী সব্যসাচী মণ্ডলের শিবপুরের নবীন সেনাপতি লেনের বাড়িতে এক দুষ্কৃতীকে পেট্রোল বোমা ছুড়তে দেখা যায়। সেই ঘটনা সিসি ক্যামেরাবন্দি হয়। সেইসময় সম্পত্তি-বিবাদে খুনের আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ব্যবসায়ী।


এদিকে, পুলিশ সূত্রে দাবি, ব্যবসায়ী খুনে আটক হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদের সময় ৫ বার বয়ান বদল করেছেন গাড়িচালক। আর এই বয়ান বদল ঘিরে তদন্তকারীদের মনে উঠেছে প্রশ্ন। পাশাপাশি, চারজন দুষ্কৃতী আসার কথা বললেও, প্রতিবেশীরা কেন টের পেলেন না, তাও ভাবাচ্ছে তদন্তকারীদের। 


পূর্ব বর্ধমানের রায়নায় দেশের বাড়িতে গিয়ে নৃশংসভাবে খুন হলেন বড়বাজারের ব্যবসায়ী। কুপিয়ে খুন, গুলিও চালানো হয় বলে অভিযোগ। ধারাল অস্ত্রের আঘাতে জখম ব্যবসায়ীর বন্ধু। 


আরও পড়ুন: রায়নায় নৃশংসভাবে খুন বড়বাজারের ব্যবসায়ী, জখম বন্ধু, আটক ২


মৃত ব্যবসায়ীর নাম সব্যসাচী মণ্ডল। স্থানীয় সূত্রে খবর, গতকাল এক বন্ধুকে নিয়ে রায়নার দেরিয়াপুর গ্রামে দেশের বাড়িতে যান ব্যবসায়ী। সঙ্গে ছিলেন গাড়িচালক ও রাঁধুনি। 


ব্যবসায়ীর বন্ধুর দাবি, রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ ছাদে রান্না চলাকালীন নীচে কেউ ডাকছে বলে জানান বছর চুয়াল্লিশের সব্যসাচী। গুলির আওয়াজ পেয়ে নীচে নেমে দেখা যায়, চারজন মিলে ব্যবসায়ীকে কোপাচ্ছে। বাঁচাতে গেলে ব্যবসায়ীর বন্ধুও আক্রান্ত হন বলে অভিযোগ। 


গুরুতর জখম ব্যবসায়ীকে বর্ধমান মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মৃত ঘোষণা করেন চিকিত্সকরা। রাঁধুনি ও গাড়িচালককে আটক করে রায়না থানার পুলিশ। 


পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে ব্যবসায়ীকে। সম্ভবত সুপারি কিলার নিয়োগ করা হয়েছিল। সম্পত্তি সংক্রান্ত বিবাদ, না কি ব্যবসায়িক শত্রুতা, খুনের মোটিভ খতিয়ে দেখছে পুলিশ।