রঞ্জিৎ সাউ ও সমীরণ পাল, কলকাতা ও ব্যারাকপুর: একদিকে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে পেট্রোল, ডিজেলের দাম। অন্যদিকে টানা বৃষ্টিতে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে ফসলের। যে কারণে সবজির দামও ব্যাপক হারে বাড়ছে বলে দাবি করছেন বিক্রেতারা। 


কিন্তু তারপরও কোথাও কোথাও সবজির অতিরিক্ত দাম নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ তুলছেন ক্রেতারা। যে অভিযোগ পেয়ে কালোবাজারি রুখতে বিভিন্ন বাজারে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। 


আজ সকালে সল্টলেক ও ব্যারাকপুরের বাজারে হানা দেন রাজ্যের এনফর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের(ইবি) আধিকারিকরা। কালোবাজারি রুখতেই এই হানা বলে দাবি ইবি-র।


বিভিন্ন বাজারে সবজি, ফল, মাছ এবং মাংস বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলেন ইবি আধিকারিকরা। বিভিন্ন বাজারে খুচরো বিক্রেতারা কোথা থেকে জিনিসপত্র কিনছেন, কত দামে কিনছেন এবং খুচরো বিক্রেতারা জিনিসপত্র কত টাকায় বিক্রি করছেন সমস্ত কিছু জিজ্ঞাসাবাদ করেন ইবির অধিকারিকরা। 


বিক্রেতারা জিনিসপত্র মজুত করে কালোবাজারি করছেন কিনা সমস্ত কিছু খতিয়ে দেখছেন ইবির আধিকারিকরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ব্যবসায়ীরা জানান, বৃষ্টি ও জ্বালানির মূল্য বৃদ্ধির কারণে দাম বাড়ছে।


আরও পড়ুন: সবজির বাজারে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি, দোকানে দোকানে হানা জেলার আধিকারিকদের


সল্টলেকের মতোই রাজ্য এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের অভিযান চলে ব্যারাকপুরে চন্দনপুকুর বাজারেও। সবজি থেকে মাছ কিছুটা চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে দেখেন আধিকারিকরা। 


বিক্রেতাদের দাবি, জ্বালানির দাম বেড়েছে তাই বাধ্য হয়ে তাঁদের একটু বেশি দাম নিতে হচ্ছে। আজ সকাল থেকে নীলগঞ্জ হাট থেকে শুরু করে বেশ কয়েকটি বাজারে তল্লাশি চালান আধিকারিকরা।


এর আগে, শুক্রবারও পুরুলিয়ার বড়হাট সবজি বাজারে অভিযান চালান এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ ও কৃষি দফতরের আধিকারিকরা। কয়েকদিন আগেও বড়হাট সবজি বাজারে প্রতি কেজি পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকায়।এদিন সেই পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৪৪ থেকে ৫০ টাকায়। 


জ্যোতি আলুর দাম ১৭ থেকে ১৮ টাকা কেজি। কয়েক দিন আগে যার দাম ছিল ১৩ থেকে ১৪ টাকা। ৪০-৪৫ টাকার টম্যাটো বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৬০ টাকায়। 


এর ফলে বাজারে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছে সাধারণ মানুষ। এক ক্রেতা বলেন, সরকার থেকে কোনও চাপ নেই। যে যা পারছে দাম নিচ্ছে। ফুলকপি ৬০-৭০ টাকা। ভীষণ সমস্যা হচ্ছে। এবার না খেয়ে মরতে হবে।


পুরুলিয়ার বড়হাট সবজি বাজারের কয়েকজন বিক্রেতা অবশ্য সবজির দাম বাড়ার অন্য কারণ বলছেন। তাঁদের দাবি, পুরুলিয়া টাউনে, বাঁকুড়া রোডের কারণ গাড়ি ঢুকতে পারে না। ওখানে গাড়ি দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাই আনতে হয়। দাম বেড়েছে। ১০৭ টাকায় তেল ভরছি আমরা।


এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী দিনেও বাজারে বাজের এই অভিযান চলবে।