সুনীত হালদার, হাওড়া: হাওড়ায় শিশু খুনের ঘটনায় গ্রেফতার সত্‍ বাবা। গতকাল টিকিয়াপাড়ায় রিজার্ভারে শিশুটির মৃতদের উদ্ধার হয়। এরপর সিসিটিভি ফুটেজের সূত্র ধরে অভিযুক্ত সৎ বাবাকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ‘স্ত্রীর প্রথম পক্ষের সন্তানকে মেনে নিতে পারেননি বলে খুন করেন’, জেরায় স্বীকারোক্তি ধৃতের। পুলিশ সূত্রে এমনই খবর।


পুলিশ সূত্রে খবর. সোমবার থেকে নিখোঁজ ছিল বাঁকড়ার বাসিন্দা ৪ বছরের ওই শিশু। গতকাল দুপুরে বাঁকড়া থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে টিকিয়াপাড়ায় নির্মীয়মাণ সরকারি বাজারের রিজার্ভার থেকে শিশুটির মৃতদেহ উদ্ধার হয়। ওই ঘটনায় এলাকার সমস্ত সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখেন তদন্তকারীরা। পুলিশ সূত্রে খবর, একটি সিসি ক্যামেরার ফুটেজে, শিশুটিকে তার সত্‍ বাবার সঙ্গে যেতে দেখা যায়। এরপর দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় সত্‍ বাবা উমেশ দ্বিবেদীকে। পুলিশ সূত্রে দাবি, একসময় ভেঙে পড়ে খুনের কথা কবুল করেন উমেশ। তাঁকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। মায়ের প্রথম পক্ষের ছেলে ওই শিশু। মা দ্বিতীয়বার বিয়ে করার পর তাকে মেনে নিতে আপত্তি ছিল সত্‍ বাবার, এমনটাই দাবি পুলিশ সূত্রে।


কয়েকদিন আগেই উত্তর দিনাজপুরের করণদিঘিতে মায়ের বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক জেনে ফেলায় খুন হতে হয় সন্তানকে। ইটভাটা থেকে এক শিশুর মৃতদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এমনই অভিযোগ সামনে এসেছে। খুনের অভিযোগে এক ব্যক্তি ও শিশুর মাকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ সূত্রে দাবি, ধৃত ব্যক্তি জেরায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন। 


পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় মহিলা স্বীকার করেছেন, নিজের সন্তানকে বিষ খাইয়ে জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে গিয়েছিলেন তিনি। 


গত ১৪ নভেম্বর জামবনির গিধনির জঙ্গল থেকে এক শিশুর গলাকাটা মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। ছোট্ট শরীরে হাত দুটো পর্যন্ত ছিল না। পুলিশ সূত্রে খবর, এলাকা থেকে স্কুলের ব্যাগ, বই ও জামাকাপড় মিলেছিল। সেই সূত্র ধরে গোয়েন্দারা জানতে পারেন, শিশুর নাম সাগেন হেমব্রম। বয়স ৪ বছর। শিশুর দেহ উদ্ধারের ঠিক এক মাসের গ্রেফতার হন তার মা।


পুলিশ সূত্রে দাবি, জেরায় মহিলা স্বীকার করেছেন, গত ১০ নভেম্বর ছেলেকে সাইকেলে চাপিয়ে গিধনির জঙ্গলে নিয়ে যান তিনি। সেখানে নিজের সন্তানকে প্রথমে বিষ খাওয়ান। ৪ বছরের শিশু নিস্তেজ হয়ে পড়তেই তাকে জঙ্গলে ফেলে রেখে চলে যান মা।