ভাস্কর ঘোষ, বেলুড়: হাওড়ার বেলুড় থানার ঢিল ছোড়া দূরত্বে মোবাইল ফোনের দোকানে দুঃসাহসিক চুরি। প্রায় ৫০টি মোবাইল ফোন, ব্লুটুথ সেট চুরি হয়েছে বলে দাবি দোকানের মালিকের। বেলুড় থানায় খবর দেওয়া হয়। বেলুড় থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়। এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। কিন্তু থানা থেকে মাত্র ২০০ গজ দূরে জিটি রোড সংলগ্ন লিলুয়া স্টেশন রোডে দীর্ঘক্ষণ ধরে চলা এই ঘটনায় পুলিশের টহলদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
পুলিশ সূত্রে খবর, টালি ভেঙে, সিলিং কেটে দোকানের ভিতরে নামে এক বা একাধিক চোর। প্রথমেই সিসিটিভির মুখ ঘুরিয়ে দেওয়া হয়। তারপর দীর্ঘক্ষণ ধরে চলে লুটপাট। তারপর মোবাইল ফোন ও অন্যান্য সরঞ্জাম নিয়ে পালিয়ে যায় দুষ্কৃতীরা। আজ সকালে দোকান খুলে অবস্থা দেখে হতবাক হয়ে যান মালিক।
স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ, গত এক বছরে হাওড়া কমিশনারেট এলাকার অন্যান্য থানা চুরি যাওয়া মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য সরঞ্জাম উদ্ধার করে মালিকের কাছে ফিরিয়ে দিতে সক্ষম হলেও, বেলুড় থানার পুলিশকর্মীরা কিছুই করতে পারেননি। তাই এই এলাকায় পুলিশি টহলদারি নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।
কিছুদিন আগে বেলুড়ের কাছেই হুগলির উত্তরপাড়ায় পরপর চুরির ঘটনায় আতঙ্ক ছড়ায়। স্থানীয় বাসিন্দারা অভিযোগ করেন, একমাসে ৬টি চুরির ঘটনা ঘটেছে। বাড়ি থেকে ফ্ল্যাট, ফাঁকা রেখে দু’দণ্ড বেরনোর জো নেই। কখনও আবার এটিএম ভেঙে টাকা লুঠের চেষ্টা।
২৪ নভেম্বর উত্তরপাড়া স্টেশন লাগোয়া এক আবাসনে এক রাতে ৭টি ফ্ল্যাটে চুরি হয়। এরপর ১২ ডিসেম্বর বিকে স্ট্রিটের একটি বাড়িতে চুরি হয়। ১৭ ডিসেম্বর বিপি এম বি সরণীতে এটিএম ভেঙে লুটের চেষ্টা চালানো হয়।
কয়েকদিন পরেই বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে আর কে স্ট্রিটের তিনতলা বাড়িতে হানা দেয় দুষ্কৃতীর দল। খোয়া যায় বহু সামগ্রী।
চন্দননগর পুলিশ কমিশনারেট সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই চুরির ঘটনায় বেশ কয়েকজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন উত্তরপাড়া পুরসভার প্রশাসক দিলীপ যাদব।