সুনীত হালদার, হাওড়া : পিকনিক অথবা দুদিনের ছোট্ট ছুটি যাপনের প্ল্যান। বেছে নিতে পারেন হাওড়ার শ্যামপুর ব্লকের গাদিয়াড়াতে। রাজ্য সরকারের উদ্যোগে  পর্যটকদের কাছে গাদিয়াড়াকে আরও আকর্ষণীয় করে তুলতে নতুন করে সাজনো হয়েছে  এই পর্যটন কেন্দ্রকে । আমফান অথবা ইয়াস ঘূর্ণিঝড়ের ধাক্কা সামলে ফের ঘুরে দাঁড়িয়েছে গাদিয়াড়া (Gadiara)। হাওড়া স্টেশন থেকে ট্রেনে চেপে উলুবেড়িয়া বা বাগনান স্টেশনে নেমে, সেখান থেকে শ্যামপুর হয়ে বাসে করে ৮ কিলোমিটার গেলেই গাদিয়াড়া।


কলকাতা (kolkata) ধর্মতলা থেকে বাসে মাত্র দুই ঘন্টা এবং গাড়িতে দেড় ঘন্টা যাত্রাপথ। এখানে রয়েছে বিলাসবহুল দোতলা হোটেল, কটেজ, বার কাম রেস্তরাঁ, কনফারেন্স রুম সহ একাধিক সুবিধা। শান্ত নদীর পাড়ে বিকাল বেলায় সূর্যাস্ত উপভোগ করার পাশাপাশি রয়েছে তিন নদীর মিলন স্থলে লঞ্চে ঘুরে বেড়ানোর সুযোগ। নদীর ধারে রয়েছে পিকনিকের সুযোগ।

আরও পড়ুন :


কল্পতরু উৎসবে এবারও ভক্তশূন্য কাশীপুর উদ্যানবাটি , কোথায় কীভাবে দেখবেন পুজো



 
রূপনারায়ণ , ভাগীরথী এবং হলদি নদীর সঙ্গমস্থলে অবস্থিত গাদিয়াড়ার সৌন্দর্য বরাবর আকৃষ্ট করে পর্যটকদের। পর্যটন কেন্দ্রের পশ্চিমপাড়ে পূর্ব মেদিনীপুরের গেঁওখালি ও দক্ষিণপাড়ে দক্ষিণ ২৪ পরগনার নূরপুর। নদী পেরোলেই  ঘুরে  আসতে পারেন পূর্ব মেদিনীপুরের মহিষাদল রাজবাড়িতে। গাদিয়াড়া থেকে সহজেই যাওয়া যায় হলদিয়া বন্দর অথবা দীঘা। 


নদীতীরের শান্ত নিরিবিলি পরিবেশে রকমারি গাছগাছালি এবং পাখিদের কলরব রীতিমতো আকর্ষণ করে পর্যটকদের। আর তার টানেই ক্রিসমাস অথবা নতুন বছরের আগের ছুটিতে ভিড় জমাচ্ছেন পর্যটকরা। 


করোনা আবহে দীর্ঘদিন ঘরবন্দি মানুষ। তাই শীত পড়তেই প্রকৃতির টানে কোভিড বিধি মেনে এখানে আসতে শুরু করেছে পর্যটকরা। প্রশাসন থেকে জানানো হয়েছে পর্যটকদের যাতে সব দিক থেকে সুবিধা হয় তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। 


খাওয়ার জন্য সেখানে অনেক হোটেল ও রেস্তারাঁ রয়েছে। তবে যদি পিকনিকের ভরপুর আনন্দ পেতে চান, তা হলে সঙ্গে করে খাবার নিয়েও যেতে পারেন।