সুনীত হালদার, শিবপুর : শিবপুরের (Shibpur) বেসরকারি হাসপাতালে জটিল অস্ত্রোপচারে সাফল্য। মহিলার পেট থেকে প্রায় সাড়ে ৭ কেজি ওজনের টিউমার (Tumor) বের করলেন চিকিৎসকরা। শেষমেশ হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়ে হাসিমুখে বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেন বছর ৫২-র রাজিয়া খাতুন। 


শিবপুর এলাকার বাসিন্দা রাজিয়া খাতুন। স্বামী পেশায় রিকশাচালক। পেটের মধ্যে আস্ত একটা 'ফুটবল'-এর সাইজে টিউমার ধরা পড়ে। বছর খানেক আগে ওই মহিলা চিকিৎসকের কাছে চিকিৎসা করাতে যান। কিন্তু, অর্থাভাবে বন্ধ হয়ে যায় তাঁর চিকিৎসা। এদিকে টিউমারের সাইজ পেটের মধ্যে ক্রমশ বাড়তে থাকে। ডাক্তারি পরিভাষায় এই অসুখের নাম- রেট্রো পেরিটোনিয়াল সারকোমা। এক ধরনের জটিল ক্যান্সার রোগ।


দীর্ঘ সময়ে বাড়তে বাড়তে সেই টিউমারের সাইজ একটি আস্ত ফুটবলের মতো হয়ে যায়। চলাফেরা করতে অসুবিধা বোধ করতে থাকেন রোগী । এর পাশাপাশি বমি, খিদেয় মন্দা-সহ একাধিক উপসর্গ দেখা দেয়। শেষমেশ শিবপুরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে গত ২০ মে সকালে ভর্তি করা হয় তাঁকে। সন্ধেয় চিকিৎসক সিরাজ আহমেদ তাঁর অস্ত্রোপচার করেন। প্রায় সাড়ে চার ঘণ্টা সেই অস্ত্রোপচারের পর সাড়ে ৭ কেজির বেশি ওজনের টিউমার পেট থেকে বের করেন। 


ওই চিকিৎসক জানিয়েছেন, শেষ স্পাইনাল বোনের উপরে এবং মূত্রথলির পিছনে এই বিরাট আকারের টিউমারটি অবস্থান করছিল। অস্ত্রোপচার না হলে ওই রোগীর প্রাণহানির সম্ভাবনা ছিল। তবে অপারেশন সফল হয়েছে। এখন রোগী বিপদমুক্ত। তাঁকে মঙ্গলবারই ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। এদিকে, মাকে বাড়ি ফেরাতে পেরে খুশি মেয়ে সোনি পারভিন। তিনি জানিয়েছেন, স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে এই অস্ত্রোপচার হওয়ায় তাঁদের এক পয়সাও খরচ হয়নি। এজন্য তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন।


দিনকয়েক আগেই জলপাইগুড়ি সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে জটিল একটি অস্ত্রোপচারের সাফল্য মিলেছিল। রক্ষা পায় এক কিশোর। কানের পিছন থেকে বের করা হয় কাঠের টুকরো। স্বস্তি ফেরে পরিবারে। ৩০ মিনিটের অস্ত্রোপচারে কানের পিছন থেকে বের করা হয় ৫ ইঞ্চি কাঠের টুকরো।