কলকাতা: ইডেনে (Eden Gardens) গুজরাত টাইটান্সের (Gujarat Titans) সামনে কঠিন চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল রাজস্থান রয়্যালস (Rajasthan Royals)। প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে রাজস্থান তুলল ১৮৮/৬। ম্যাচ জিততে হলে হার্দিক পাণ্ড্যদের তুলতে হবে ১৮৯ রান। অসম্ভব না হলেও সেটা বেশ কঠিন লক্ষ্য বলেই মনে করা হচ্ছে।
রাজস্থানের ইনিংসকে ব্যাট হাতে নেতৃত্ব দিলেন জস বাটলার। চলতি আইপিএলে স্বপ্নের ফর্মে রয়েছেন ইংরেজ তারকা। অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে সকলের আগে। মঙ্গলবার ৫৬ বলে ৮৯ রান করলেন। তাঁর ইনিংসে ছিল ১২টি চার ও জোড়া ছক্কা। শুরুতে অবশ্য ছন্দ হাতড়ে বেড়াচ্ছিলেন। টাইমিং হচ্ছিল না শটের। একটা সময় ৩১ বলে ৩০ রান করে ব্যাট করছিলেন। তবে কেন তিনি বড় ব্যাটার, তা যেন প্রমাণ করে দিলেন বাটলার। অহেতুক ঝুঁকি নেননি। তবে ক্রিজ আঁকড়ে পড়েছিলেন। ধৈর্য্যের পুরস্কারও পেলেন। ৫০ বলে ৬৯ রানে থাকাকালীন তাঁর ক্যাচ ফেলে দেন রশিদ খান। শেষ পর্যন্ত ৮৯ রান করে গেলেন বাটলার।
সঞ্জু স্যামসনও ছিলেন আগ্রাসী মেজাজে। ২৬ বলে ৪৭ রান করেন রাজস্থান রয়্যালস অধিনায়ক। দেবদত্ত পড়িক্কল ২০ বলে ২৮ রান করেন।
টস জিতে প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন গুজরাতের অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য। চলতি আইপিএলে কার্যত ম্য়াচ জেতার ফর্মুলাই হয়ে দাঁড়িয়েছে, টস জেতো, বিপক্ষকে আগে ব্যাট করতে পাঠাও। তারপর রান তাড়া করো। এবারের আইপিএলের গ্রুপ পর্বের খেলা হচ্ছিল মহারাষ্ট্রের দুই শহর মুম্বই ও পুণেতে। সন্ধের পর থেকে শিশির পড়ছিল। তাই পরের দিকে বল গ্রিপ করতে সমস্যায় পড়ছিলেন বোলাররা। সব অধিনায়কই তাই চাইছিলেন শুরুতে ফিল্ডিং করে নিতে। এবং রান তাড়া করতে নেমে প্রতিপক্ষ বোলারদের শিশির সমস্যার ফায়দা তুলতে। কলকাতাতেও যে নিয়মের ব্যতিক্রম হল না।
গুজরাত বোলারদের মধ্যে সেরা রশিদ খান। ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দেন আফগান স্পিনার। তবে নজর কাড়তে পারেননি মহম্মদ শামি। ৪ ওভারে ৪৩ রান খরচ করে এক উইকেট নেন বঙ্গ পেসার।
আরও পড়ুন: বিরাট-ঝড়ের পূর্বাভাস, নেটে স্পিনারকে স্টেপ আউট করে ছক্কাও মারলেন কোহলি