হাওড়া: সোমবার উলুবেড়িয়ায় ভয়াবহ দুর্ঘটনার রেশ এখনও কাটেনি। এরইমধ্য়ে, হাওড়ায় দুটি পৃথক পথদুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হল ২ জনের। গতকাল গভীর রাতে ডোমজুড়ের পার্বতীপুরে নতুন শেখার পর, গাড়ি চালানো প্র্য়াকটিস করছিলেন, সন্তু মালিক নামে ২৫ বছরের এক যুবক। গাড়িতেই ছিলেন তাঁর ২ বন্ধু। আচমকা নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে একটি গাছে ধাক্কা মারে গাড়িটি। গাড়ির গতিবেগ এতটাই বেশি ছিল যে, ইঞ্জিন, চাকা ও অন্যান্য যন্ত্রাংশ আলাদা হয়ে যায়। ঘটনাস্থলেই মৃত্য়ু হয় চালকের আসনে থাকা, পেশায় গয়নার ডিসাইনার, সন্তু মালিকের। গুরুতর জখম হন তাঁর ২ বন্ধু।
অন্য়দিকে, আজ ভোরে, ডোমজুড়ে পাকুরিয়া ব্রিজের ওপর এক বাইক আরোহীকে পিছন থেকে পিষে দেয় একটি লরি। তিনি ট্রেনের লোকো পাইলট। আজ ভোরে ডিউটি শেষ করে, সাঁতরাগাছি থেকে মোটর বাইকে বেলঘরিয়ায় বাড়িতে ফিরছিলেন। তখনই দুর্ঘটনা ঘটে। এর আগে, গত সোমবার, উলুবেড়িয়ার জাতীয় সড়কের ওপর গাড়ি দুর্ঘটনায় মৃত্য়ু হয় বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ অধ্য়াপিকার। মালবাহী ট্রাকের ধাক্কায় দুমড়ে মুচড়ে যায় তাদের গাড়ি।
বেহালা চৌরাস্তার ঘটনা কার্যত আলোড়ন ফেলে দিয়েছিল গোটা রাজ্যজুড়ে। এরপরই ঠাকুরপুকুর আবারও দুর্ঘটনার সাক্ষী হয়। মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় শিশুমৃত্যুর চারদিনের মাথায় স্কুলের সামনে আবাসিক ছাত্রকে ধাক্কা মারে বেপরোয়া ট্যাক্সি। গুরুতর আহত হয় ১০ বছরের বালক। এদিন সকাল ১১টা নাগাদ ঠাকুরপুকুর ক্যান্সার হাসপাতালের সামনে এমজি রোডের ওপর দুর্ঘটনা ঘটে। হরিদেবপুর থেকে জেমস লং সরণির দিকে যাওয়ার সময়ে সুস্নিগ্ধ স্কুলের সামনে স্থানীয় একটি হোমের আবাসিক ছাত্রকে ধাক্কা মারে ট্যাক্সি। মাথায় গুরুতর আঘাত পায় বালক। হরিদেবপুর থানার ASI দেখতে পেয়ে ওই ট্যাক্সিতেই পড়ুয়াকে তুলে স্থানীয় নার্সিংহোমে নিয়ে যান। আঘাত গুরুতর হওয়ায় পরে ওই বালককে এসএসকেএমে স্থানান্তরিত করা হয়।