সুনীত হালদার, হাওড়া : কারখানার ঠিকাদারের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ালো হাওড়ার বাগনানে। মৃতের পরিবারের অভিযোগ, পরিকল্পিতভাবে খুব করা হয়েছে তাপস মান্না নামে ওই ঠিকাদারকে। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বাগনান থানার পুলিশ। 


স্থানীয় সূত্রে জানা যাচ্ছে, উলুবেড়িয়ার কুলগাছিয়া এলাকার একটি কোম্পানিতে ঠিকাদারের কাজ করতেন তাপস মান্না। বাগনানের নহলার বাসিন্দা তাপস গত শনিবার দুপুর দুটো নাগাদ বাড়ি থেকে বেরনোর পর তাঁর সঙ্গে আর কোনও যোগাযোগ করতে পারেনি তাঁর পরিবারের লোকেরা। আচমকাই তাঁরা খবর পান যে হাওড়া হাসপাতালে নাকি মৃত্যু হয়েছে তাপস মান্নার। এদিকে ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়েই হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছেন বাবা। মৃতের পরিবার সূত্রে জানা যাচ্ছে, শনিবার দুপুরে সংশ্লিষ্ট কারখানার অন্য এক কন্ট্রাকটর সত্যজিৎ গুছাইতের ফোন আসে তাপসের কাছে। ফোন পেয়েই বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান তিনি। সারাদিন বাড়ি না ফেরায় রাত ১০টা নাগাদ পরিবারের লোকেরা যখন তাপসকে ফোন করেন, তখন জানান যে, তিনি কন্ট্রাকটর সত্যজিৎ এবং তাঁর ভাই বিশ্বজিতের সঙ্গে রয়েছে। এরপর থেকে তাঁকে আর ফোনে পাননি পরিবারের লোকেরা।



Howrah: বাঁধ নির্মাণে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক


তাপসের খোঁজে আত্মীয়-পরিজনদের বাড়িতেও ফোন করেন তাঁর পরিবারের লোকেরা। কিন্তু কোথাও তাঁর খোঁজ পাওয়া না গেলে অবশেষে তাঁরা বাগনান থানায় নিখোঁজ ডায়রি করেন। এরপর রবিবার তাঁরা সত্যজিৎ গুছাইতকে ফোন করলে তিনি বলেন যে, আহত অবস্থায় তাপসকে হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল এবং সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে। ছেলের মৃত্যুর খবর পেয়ে মারাত্মকভাবে ভেঙে পড়েন নিহত তাপসের বাবা। হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। তাপস মান্নার পরিবারের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে যে, এই ঘটনার পর বিভিন্ন সূত্রে মারফৎ তাঁরা জানতে পেরেছিলেন যে, উলুবেড়িয়া থানার ফকির পাড়ার কাছে ১৬ নং জাতীয় সড়কের পাশের লোহার রেলিংয়ে মারাত্মক আহত অবস্থায় পড়েছিলেন তাপস। কিন্তু কে বা কারা তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গিয়েছে, তার কোনও সদুত্তর পাননি তাঁরা। তাছাড়াও, কাছেই উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতাল থাকতে কেন দূরের হাওড়া হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল আহত তাপসকে, তারও কোনও উত্তর পাচ্ছেন না তাঁরা। কন্ট্রাকটর সত্যজিতই বা কীকরে তাপসের খোঁজ পেলেন, তাও জানেন না তাঁরা। 


পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, নিহত তাপস মান্নার পরিবার ছেলের মৃত্যুর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় সত্যজিৎ এবং বিশ্বজিতের হাত রয়েছে বলে অভিযোগ জানিয়েছেন। তাঁদের দাবি, এটা কোনও দুর্ঘটনা নয়। বরং তাপসকে পরিকল্পিতভাবে খুন করা হয়েছে। বাগনান থানার পুলিশ ইতিমধ্যেই তাপস মান্নার রহস্যমৃত্যু নিয়ে তদন্ত শুরু করেছে।


 


আরও পড়ুন-


Howrah: বাঁধ নির্মাণে সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক