সুনীত হালদার, হাওড়া: নিম্ন দামোদর অববাহিকায় বাঁধ নির্মাণে, সেচ দফতরের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুললেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক। প্রজেক্ট রিপোর্টেই গলদ আছে বলে অভিযোগ শাসক দলেরই বিধায়কের। যদিও সেচমন্ত্রীর দাবি, বিশ্ব ব্যাঙ্কের রিপোর্টের ভিত্তিতে হচ্ছে কাজ, দফতরের হাতে নেই।


সমীর পাঁজা, উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক সমীর পাঁজা বলেন, ‘সেচ দফতর নিম্ন দামোদর অববাহিকায় যে ডিপিআর তৈরি করেছে তাতে ফাঁকফোকর আছে, যেভাবে আমাকে বুঝিয়েছে আমি মনে করি কাজটা সঠিক হচ্ছে না।’


দামোদরের বাঁধ নির্মাণে ‘ত্রুটি’। তৃণমূল বিধায়কের নিশানায় সেচ দফতর! কোনও বিরোধী দলের বিধায়ক নয়, শাসক দলের বিধায়কের নিশানায় সেচ দফতরের কাজ। ডিভিসি জল ছাড়লে, প্রতি বছর ভাসে দক্ষিণ দামোদর অববাহিকার বিস্তীর্ণ এলাকা।


মাস খানেক আগেও ভেসে গিয়েছিল হাওড়ার উদয়নারায়ণপুর, আমতা। বন্যাপ্রবণ এই এলাকায়, বছর দুয়েক আগে বিশ্বব্যাঙ্কের সহযোগিতায় বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। 


দামোদরের পূর্ব পাড়, অর্থাৎ হাওড়া ও হুগলির একাংশে কংক্রিটের বাঁধ তৈরি হলেও, পশ্চিম পাড়ে তেমন কিছু না হওয়ায়, ক্ষুব্ধ উদয়নারায়ণপুরের বাসিন্দারা। সেখানকার এক বাসিন্দা ভীম খেটো বলেন, ‘স্থায়ীভাবে পশ্চিমদিকে কংক্রিট বাঁধ চাই, এভাবে কাজ করলে আবার বাঁধ ভাঙবে, পূর্ব দিকের মতো কংক্রিট বাঁধ করতে হবে।’


এই পরিস্থিতিতে সেচ দফতরের কাজের ধরন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন উদয়নারায়ণপুরের তৃণমূল বিধায়ক। সমীর পাঁজা বলেন, ‘সেচ দফতরের সদিচ্ছার অভাব আছে বলে মনে করি, পূর্ব পার প্রোটেকশেন পেলেও, পশ্চিম পারে মজুবত বাঁধ  হোক,মন্ত্রী সেচ দফতরকে জানিয়েছি।’ তবে খুব তাড়াতাড়ি এই বাঁধ নির্মানের কাজ শেষ হবে, নিয়ে আশাবাদী বিধায়ক।


 


উদয়নারায়ণপুরের বিধায়কের অভিযোগের প্রেক্ষিতে, রাজ্যের সেচ মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্র জানিয়েছেন, ওই প্রকল্পের ডিটেলস প্রজেক্ট রিপোর্ট তৈরি করেছে বিশ্ব ব্যাঙ্ক। এ ব্যাপারে সেচ দফতরের কোনও ভূমিকা নেই। দামোদরের পশ্চিম পাড় লাগোয়া এলাকার সমস্যা মেটাতে, তিনি বিধায়কের সঙ্গে কথা বলবেন।