সুনীত হালদার, হাওড়া: 'স্ত্রীর সঙ্গে অন্য যুবকের অবৈধ সম্পর্ক আছে', সন্দেহে স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে খুনের অভিযোগ উঠল স্বামীর বিরুদ্ধে। মৃত মহিলার নাম মিনা পণ্ডিত (৪০)। বাড়ি রাজাপুর থানার কমলাচক গ্রামে। ঘটনায় রাজাপুর থানার পুলিশ মহিলার স্বামী রবিন ভাঙ্গিকে গ্রেফতার করেছে।
' কারখানায় রান্না করার সুবাদে, অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে'
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মিনা পণ্ডিতের স্বামী ও পরিবার আছে। অন্যদিকে রবিন ভাঙ্গির ও স্ত্রী পরিবার আছে। যদিও বছর ৪-৫ আগে রবীন ও মিনা কমলাচক খালপাড়ে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করে। জানা গিয়েছে, মিনা ধুলাগড়ে একটি কারখানায় রান্না করার সুবাদে অন্য একটি ছেলের সঙ্গে সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। যেটা নিয়ে রবিনের সঙ্গে মিনার সম্পর্কে অবনতি হতে থাকে। এরপরেই রবিন মিনাকে খুনের পরিকল্পনা করে।
নির্জন জায়গায় ঘুরতে নিয়ে গিয়ে 'খুন'
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, সোমবার রাতে মিনা কাজ সেরে বাড়ি ফেরার পথে নিমদিঘিতে বাস থেকে নামার পর রবিন তাকে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে উলুবেড়িয়া ষ্টেশনের কাছে নিয়ে আসে। অভিযোগ, এর পরেই স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে থেকে নির্জন জায়গায় রবীন মিনাকে শ্বাসরোধ করে। পরে ফোন করে রেললাইনের পাশে ঝোপের মধ্যে মৃতদেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায়।
আত্মসমর্পণ স্বামীর
পরে মঙ্গলবার সকালে রবিন উলুবেড়িয়া জিআরপিতে গিয়ে আত্মসমর্পণ করেন। জিআরপি অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে। ধৃতকে আজ উলুবেড়িয়া আদালতে তোলা হবে। পুলিশ মৃতদেহটি ময়না তদন্তের জন্য উলুবেড়িয়া শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় মেডিকেল কলেজে পাঠিয়েছে। পুলিশ একটি খুনের মামলা রুজু করে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে।
আরও পড়ুন, পুরীতে রথ থেকে নামানোর সময় নিচে পড়ে গেল বলরামের মূর্তি
সম্প্রতি মেমারি শহরের সুলতানপুর এলাকায় বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছিল গৃহবধূর গলার নলি কাটা দেহ। বছর আটত্রিশের মৃতের নাম প্রতিমা চক্রবর্তী। স্থানীয়দের দাবি, রান্নার কাজে বাইরে যান মৃতের স্বামী। বাড়িতে একাই ছিলেন গৃহবধূ। বোনের দাবি, বাড়ির ভিতরে গৃহবধূকে রক্তাক্ত অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখা যায়। কী কারণে খুন, খতিয়ে দেখছে তদন্তে নেমেছিল মেমারি থানার পুলিশ।
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।