সুনীত হালদার, হাওড়া: পুজোয় উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গিয়ে বড়সড় দুর্ঘটনার হাত থেকে বাঁচলেন ১৪ জন বাঙালি পর্যটক। প্রবল বৃষ্টি ও ধসের জেরে তাঁরা আটকে পড়েন। সবাই সুস্থ থাকলেও, কবে বাড়ি ফিরবেন তা নিয়ে তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা।


প্রকৃতি কতটা ভয়ঙ্কর, সর্বগ্রাসী হতে পারে তা আরও একবার টের পেল উত্তরাখণ্ড। আর এই পাহাড়ি রাজ্যে পুজোর ছুটি কাটাতে গিয়ে, বিপদে পড়েছেন হাওড়া থেকে যাওয়া ১৪ জন পর্যটকের দল। সোমবার রাতে পর্যটকদের ফেরার ট্রেন ছিল কাঠগোদাম স্টেশন থেকে। কিন্তু, প্রবল বৃষ্টিতে কাঠগোদাম ফেরার রাস্তায় বড়সড় ধস নামে। আটকে পড়েন সবাই। বিপদের সময় ওই পর্যটকদের পাশে দাঁড়ান স্থানীয়রা। আপাতত তাঁদের আশ্রয়ে রয়েছেন তাঁরা। কিন্তু ঘরে ফিরবেন কীভাবে? দেখা দিয়েছে চূড়ান্ত অনিশ্চয়তা।


গত সপ্তমীর দিনে হাওড়ার কোনা থেকে ১৪ জনের একটি দল উত্তরাখণ্ডে বেড়াতে গেছিলেন। হাওড়ার আমতা ও কলকাতার বাসিন্দাও ছিলেন। ওই পর্যটকরা নৈনীতাল, আলমোরা রানীক্ষেত হয়ে কাঠগুদাম থেকে ফেরার ট্রেন ধরার কথা ছিল । সেইমতো গতকাল যখন তারা গাড়ি করে রানীক্ষেত থেকে কাঠগোদামের দিকে যাচ্ছিলেন সেই সময় কাচছি ধাম এলাকায় পাহাড়ি ধসের কবলে পড়েন বলে জানিয়েছেন আটকে পড়া যাত্রীরা। 



ধসের পাশাপাশি প্রবল ঝোড়ো হাওয়া এবং বৃষ্টিতে গাড়িতে আটকে পড়েন ওই পর্যটকরা। শেষমেষ উপায় না দেখে তারা গ্রামবাসীদের সহায়তায় তাদের বাড়িতে গ্রামে রাত কাটান। তাদের আগামীকাল অর্থাৎ বুধবার সকালে বাড়ি ফেরার কথা থাকলেও কাঠগুদাম স্টেশন থেকে ট্রেন ধরতে না পারার কারণে তারা বাড়ি ফিরতে পারছেন না। হাওড়ার কোনায় বাড়ির লোকের কাছে এই খবর পৌঁছালে তারা উদ্বিগ্ন হয়ে পড়েন। প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে ফোনে ভালোভাবে কথা বলাও যাচ্ছে না বলে জানিয়েছেন পর্যটকদের বাড়ির লোকজন। এখন বাড়ির লোকজন উদ্বিগ্ন অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন। তারা চাইছেন রাজ্য সরকার কিছু ব্যবস্থা নিক যাতে ঘরের লোক ঘরে ফিরে আসেন।


আটকে পড়া পর্যটক কৃষ্ণ গোস্বামী বলেন, "এমনভাবে আটকে পড়ি আর বেরোতে পারিনি। স্থানীয় কয়েকজন তাদের মতো করে নিয়ে ঘরে আনে, জামা কাপড় দেয়। এখন তাদের ঘরে আশ্রয় নিয়ে আছি। বৃষ্টি অঝোরে হয়েই যাচ্ছে। কীভাবে কাঠগোদাম গিয়ে পৌঁছাব। নতুন করে টিকিট কাটব ভরসা পাচ্ছি না?"পর্যটকরা প্রত্যেকেই সুস্থ আছেন। রাজ্য প্রশাসনের তরফে তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে।