নয়াদিল্লি: প্রবল বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড। নৈনিতাল লেকের জল রাস্তায়। এর জেরে নৈনিতালের বহু রাস্তা, বাড়িঘর জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। গতকাল বদ্রিনাথে জাতীয় সড়কে জলের তোড়ের মধ্যে একটি গাড়িতে কয়েকজন আটকে পড়েন। পরে তাঁদের উদ্ধার করে বর্ডার রোডস অর্গানাইজেশনের কর্মীরা। 


দেখুন ভিডিও: Uttarakhand : বৃষ্টিতে বিপর্যস্ত উত্তরাখণ্ড, নৈনিতালের বহু রাস্তা, বাড়িঘর জলমগ্ন


হলদওয়ানিতে গাউলা নদীর সেতুর ওপর দিয়ে জল বইছে।  সেই রাস্তায় আসছিলেন এক মোটরবাইক আরোহী। স্থানীয় মানুষজন সতর্ক করায় তিনি আর সেতুতে না উঠে ফিরে যান।  বৃষ্টি ও দুর্যোগে উত্তরাখণ্ডে এখনও পর্যন্ত ১৬ জনের মৃত্যুর খবর মিলেছে।  ধসের কারণে আটকে পড়েছেন প্রায় ১০০ জন পর্যটক। এদিকে উত্তরাখণ্ডে পুজোর সময় বেড়াতে গিয়ে প্রবল বৃষ্টি ও ধসের কারণে বিপদে পড়েছেন রাজ্যের ১৪ জন পর্যটক।  সূত্রের খবর, বাগুইআটির জ্যাংড়ার বাসিন্দা কৃষ্ণকুমার গোস্বামী অফিসের কয়েকজন সহকর্মীকে নিয়ে নৈনিতালে বেড়াতে গিয়েছিলেন। ফেরার সময় উত্তরাখণ্ডের কাঁচিধামে তাঁরা ধসের কারণে আটকে পড়েন। কৃষ্ণকুমার ও তাঁর এক সহকর্মী কোনওক্রমে গাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে আসেন।  কিন্তু বাকি সঙ্গীদের সঙ্গে তাঁদের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়।  


এদিকে কেরলে জল বিপজ্জনক মাত্রায় বেড়ে যাওয়ার কারণে পেরিয়ার নদীর ওপর ইদামালায়ার বাঁধের ২টি লকগেট খুলে দেওয়া হয়েছে। এছাড়াও খোলা হয়েছে আরও একটি বাঁধের লকগেট। ফলে আরও এলাকা প্লাবিত হওয়ার আশঙ্কা।  ইদুক্কিতেও জল বেড়ে বাঁধের মাথা ছুঁইছুঁই। ফলে সেখানেও লকগেট না খুললে আরও বড় বিপর্যয়ের আশঙ্কা রয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে খবর। ইতিমধ্যে কেরলে বন্যা পরিস্থিতির ফলে বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়েছে। 


এর্নাকুলাম শহর জলমগ্ন। শহরের অধিকাংশ জায়গায় কোমর সমান জল। সেই জলের পরিমাণ ক্রমেই বাড়ছে। নৌকা ছাড়া যাতায়াতের উপায় নেই। দুধ, জল, খাবার নৌকায় করে পৌঁছে দেওয়া হচ্ছে বাসিন্দাদের কাছে। আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস অনুযায়ী, চলতি সপ্তাহে বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। প্রতিবছর ১ থেকে ১৮ অক্টোবর পর্যন্ত যা বৃষ্টি হয়, তা থেকে চলতি বছরে ১৪২ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। বন্যা পরিস্থিতিতে কড়া নজরদারির নির্দেশ দিয়েছন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়ন। সাধারণ মানুষের কাছে তাঁর আবেদন, দুর্যোগ পরিস্থিতিতে এমন জায়গায় আশ্রয় নিন যা নিরাপদ। রাজ্যেজুড়ে ২৪০টি ত্রাণ শিবির খোলা হয়েছে, যেখানে ২ হাজার ৫৪১টি পরিবারের ৯ হাজার ৮১ জন আশ্রয় নিয়েছেন।