হাওড়া: জল সরবরাহ (Water Supply) নিয়ে জরুরি বিজ্ঞপ্তি দিয়েছে হাওড়া পৌর নিগম। মূলত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে জল বন্ধ থাকবে। যদিও পরের দিন শুক্রবার সকাল থেকেই জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, 'জরুরি ভিত্তিতে কেএমডিএ দ্বারা সালকিয়া ভূগর্বস্থ জলধারের ভিতর অবস্থিত পুরনো জল সরবরাহ করার পাইপ স্থানান্তকরণ এবং নতুন পাইপ সংযোগ করার কাজে, আগামী বৃহস্পতিবার ৪ জানুয়ারি ২০২৪ সন্ধ্যা ৭ টা থেকে ৯ টা অবধি ওয়ার্ড নং ১ থেকে ৬,৭ (আংশিক) ও ওয়ার্ড নং ১০ থেকে ১৬ নং ওয়ার্ডে সালকিয়া ভূগর্বস্থ জলাধার থেকে জল সরবরাহ বন্ধ থাকবে। পরের দিন ৫ জানুয়ারি ২০২৪ শুক্রবার সকাল ৬ টা থেকে ওই সকল ওয়ার্ডে জল সরবরাহ স্বাভাবিক হবে বলে আশা করা যায়।' প্রসঙ্গত, পাম্প মেরামতির জন্য গতবছর সেপ্টেম্বর মাসেও পানীয় জল সরবরাহ নিয়ে বড়সড় নোটিশ দিয়েছিল হাওড়া পুরসভা। পাশাপাশি বাইশ সালের জুন মাসেও হাওড়ার বেলগাছিয়া এলাকায় জল বন্ধের নোটিশ দেওয়া হয়েছিল।
প্রসঙ্গত, কেন্দ্রের সঙ্গে রাজ্যের বহু বিরোধের মাঝেই কেন্দ্রের প্রকল্প রাজ্যবাসীর কাছে পৌঁছে দিতে তৎপর হয়েছে রাজ্য সরকার। লোকসভা ভোটের আগে ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জল পৌঁছে দিতে উদ্য়োগী হয়েছে রাজ্য় সরকার (West Bengal Government)। কেন্দ্রের সঙ্গে হাতে হাত মিলিয়ে অর্থ দিয়ে রাজ্যবাসীর ঘরে ঘরে ঘরে ঘরে পরিশ্রুত পানীয় জলের সুবিধা দিয়ে পৌঁছে দিতে উদ্যোগী হয়েছে রাজ্য সরকার।
চলতি বছরের মার্চ মাসের মধ্যে কেন্দ্রের জল জীবন মিশন (Jal Jiban Mission) প্রকল্পের কাজ শেষ করতে তৎপর জনস্বাস্থ্য ও কারিগরি দফতর। কেন্দ্রের এই প্রকল্পে রাজ্য়ে ১ কোটি ৮০ লক্ষ মানুষের ঘরে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩৫ লক্ষ বাড়িতে পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া সম্ভব হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে দ্রুত কাজ শেষ করতে তৎপর রাজ্য় সরকার।
আরও পড়ুন, বাড়ছে করোনা ! তার মাঝেই বেলেঘাটা ID র করোনা চিকিৎসার নোডাল অফিসারের বদলি, বিতর্ক
প্রসঙ্গত, এই প্রকল্পে কেন্দ্র ৫০ শতাংশ অর্থ দেয়। ৪০ শতাংশ অর্থ রাজ্য় সরকার দেয়। বাকি ১০ শতাংশ উপভোক্তাকে দিতে হয়। তবে উপভোক্তার অর্থ দেওয়া নিয়ে নবান্নের (Nabanna) আপত্তিতে রাজ্য়ে প্রকল্পের কাজ শুরু হতে দেরি হয়েছে। কেন্দ্রের পাশাপাশি রাজ্য় সরকারও এই প্রকল্পে ৫০ শতাংশ অর্থ দেওয়ায় জট কাটিয়ে শুরু হয়েছে প্রকল্প। বাংলার উপভোক্তাকে যাতে পরিশ্রুত পানীয় জল পেতে কোনও অর্থ দিতে না হয় সেটা নিশ্চিত করে এবার প্রকল্প বাস্তবায়নে গতি আনতে চাইছে রাজ্য সরকার।