সুনীত হালদার, হাওড়া : রাত থেকে টানা বৃষ্টির (Heavy Rain) জের। হাওড়া পুরসভার (Howrah Corporation)অন্তত ৩০টা ওয়ার্ড জলমগ্ন হয়ে পড়েছে। এখনই বিভিন্ন জায়গায় হাঁটু জল। যানবাহনের চাকা ডুবছে। 

জল জমেছে পঞ্চাননতলা, টিকিয়াপাড়া, দাশনগর, সালকিয়া, রামরাজাতলা, বেলগাছিয়া লিলুয়া, ঘুসুড়িতে।  মাসখানেক আগেও প্রবল বৃষ্টিতে জলমগ্ন হয়েছিল হাওড়া শহরের এই অঞ্চলগুলি।  শহরের মূল রাস্তাগুলো একেবারে জলমগ্ন। কোথাও গোড়ালি ডোবা জল, কোথাও আবার হাঁটু জল। বাড়িতেও জল ঢুকেছে। সকাল থেকে রাস্তায় যানবাহন কম। দুর্ভোগ বেড়েছে হাওড়াবাসীর। বর্ষণে হাওড়াবাসীর ভোগান্তি নতুন কিছু নয় । মাসখানেক আগের টানা বৃষ্টিতে ৪-৫ দিন জল জমেছিল হাওড়ার বেশ কিছু জায়গায়। হাওড়া শহরের রামরাজাতলা, সালকিয়া, দাশনগর সহ নিচু জায়গায় বৃষ্টি মানেই জল জমে যাওয়া। হাওড়া পুরসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, শহরের জলনিকাশি পাম্পগুলি চালিয়ে জল নামানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। গঙ্গায় জোয়ার এলে অবশ্য ফের বন্ধ করে দিতে হবে লকগেট। তখন জল নামা সম্ভব হবে না। 

আরও পড়ুন : টানা বৃষ্টিতে সারা শহরের কী পরিস্থিতি, দেখুন ছবিতে 

কলকাতা শহরের পাশাপাশি কার্ষত বানভাসি শহরতলির অনেক এলাকাও। দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার সোনারপুরের বিভিন্ন রাস্তায় জল জমেছে। ফলে জল ঠেলেই চলছে যাতায়াত। রাস্তার দু’পাশে বাড়িতেও জল ঢুকে গিয়েছে। 


রাতভর বৃষ্টিতে উত্তর থেকে দক্ষিণ, কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় জল জমেছে। সতর্ক কলকাতা পুরসভা। পুরসভার তরফে জানানো হয়েছে, গঙ্গার লকগেটগুলো খোলা রয়েছে। পাশাপাশি, ৭৬টা পাম্পিং স্টেশন লাগাতার কাজ করছে। সাড়ে চারশোর বেশি পাম্প চালিয়ে জল নামানো হচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছে পুরসভা। 


আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তৈরি হয়েছে ঘূর্ণাবর্ত। পাশাপাশি দক্ষিণবঙ্গ সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা। তার জেরে আজ সারা দিন বৃষ্টি চলবে। বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হবে কয়েকটি জেলায়।
আগামীকাল কমবে বৃষ্টির পরিমাণ।

আরও পড়ুন : রাতভর তুমুল বৃষ্টিতে জল থৈ থৈ শহর, উত্তর থেকে দক্ষিণের অনেকাংশ জলের তলায়