সুনীত হালদার, হাওড়া : হন্যে হয়ে একটা চাকরি খুঁজছিলেন যুবক। খোঁজ করছিলেন অনলাইনেও। আর সেখানেই জালিয়াতদের পাতা ফাঁদে আটকা পড়ে গেলেন এক যুবক। চাকরির টোপ দিয়ে তাঁর অপহরণ পর্যন্ত করল দুষ্কৃতীরা। অভিযোগ, সমাজমাধ্যমে চাকরির বিজ্ঞাপন দেখে যোগাযোগ করার পরই বড় জালে জড়িয়ে পড়েন হাওড়ার যুবক। ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সম্মুখীন হতে হয় তাঁকে। 


লিলুয়া থানার অন্তর্গত জগদীশপুর দেবীপাড়ার বাসিন্দা রবিশংকর কেশরী । সমাজ মাধ্যমে পোস্ট দেখে চাকরির আবেদন করেন। তাঁকে একটি কোম্পানি সুপারভাইজার পদের জন্য ১৭,২০০ টাকা বেতনের চাকরির টোপ দেওয়া হয়। সোমবার দুপুর তিনটে নাগাদ তাঁকে চাকরির আবেদনপত্র এবং প্রমাণপত্র নিয়ে লিলুয়ার ভট্টনগর বাস স্ট্যান্ডে দেখা করতে বলেন দুই যুবক। রবিশংকর সেখানে  বাইক নিয়ে পৌঁছতেই তাঁকে অপহরণ করা হয়। অভিযোগ,  লিলুয়ার সূর্যনগরের একটি বাড়িতে অস্ত্র দেখিয়ে তাঁকে আটকে রাখা হয়। 


অভিযোগ, গলায় চপার ঠেকিয়ে তাঁর কাছ থেকে ৪০,০০০ টাকা দাবি করা হয়। এরপর রবিশঙ্করের ফোন থেকে তাঁর স্ত্রীর কাছে ফোন যায়। অবিলম্বে মুক্তিপণের টাকা না দেওয়া হলে খুন করে দেওয়া হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। রবিশঙ্করের পরিবারের লোকজন পুলিশকে না জানিয়ে গয়না বন্ধক রেখে ২০,০০০ টাকা জোগাড় করেন। সেই টাকা নিয়ে তাঁরা অনলাইনেই কিডন্যাপারদের টাকা পাঠান। 


তারপরও রবিশংকরকে ছাড়া হয়নি। হুমকি দেওয়া হয়, পুলিশকে জানালে তাঁর উলঙ্গ - ছবি ভাইরাল করে দেওয়া হবে। তেমন ছবিও জোর করে তোলা হয় বলে  অভিযোগ।  


এরই মধ্যে অপহূতের ভাইপো ঋত্বিক লিলুয়া থানার আউটপোস্টে অভিযোগ জানান। সেখান থেকে লিলুয়া থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। লিলুয়া থানার পুলিশ গতকাল রাতে কিডনাপারদের মোবাইল ফোন ট্র্যাক করে ভট্টনগর থেকে তিনজন দুষ্কৃতীকে হাতেনাতে পাকড়াও করে। উদ্ধার করা হয় অপহৃত যুবককে।


পুলিশের এক পদস্থ কর্তা জানিয়েছেন ধৃতদের বিরুদ্ধে কিডন্যাপ সহ একাধিক ধারায় মামলা শুরু করেছে পুলিশ। তদন্তের স্বার্থে তাঁদের আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। মুক্তিপণের টাকা তাঁদের কাছ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে।  আজ তাঁদের হাওড়া আদালতে তোলা হয়। 


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে