সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা ও নিউটাউন:পরিবহণ ব্যবসায়ীর (transport trader) বাড়ি থেকে উদ্ধার বান্ডিল বান্ডিল টাকা (money)। গার্ডেনরিচের (garden reach) শাহি আস্তাবল গলিতে ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে খাটের তলায় প্লাস্টিকের ব্যাগে (plastic bag) রাখা ছিল ওই টাকা, দাবি ইডি (ED) সূত্রে। প্রায় পাঁচ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে বলে খবর।
কত টাকা, গুনতে রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কের টাকা গোনার মেশিন আনা হচ্ছে। এই মুহূর্তে ওই এলাকায় মোতায়েন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদের (Central Force) সংখ্যা বেড়ে গিয়েছে। এলাকার ঢোকা ও বেরোনোর মুখও পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। এদিন সকাল সাড়ে আটটা থেকে ওখানে তল্লাশি অভিযান শুরু করেন ইডি আধিকারিকরা। বিপুল পরিমাণ টাকা মিলতেই আরও কয়েক জন আধিকারিককে ঢুকতে দেখা যায়।
কী বলছে ইডি?
তদন্তকারী সংস্থা সূত্রে খবর, ওই বিপুল পরিমাণ টাকার উৎস নিয়ে সদুত্তর দিতে পারেননি নিসার খান। কোনও বৈধ নথিও পেশ করতে পারেননি ওই ব্যবসায়ী। সূত্রের খবর, উদ্ধার হওয়া ওই অর্থ তাই আপাতত কালো টাকা হিসেবেই গণ্য করছে ইডি। এখনও পর্যন্ত যা জানা গিয়েছে তাতে নিসার খানের আমদানি-রফতানির ব্যবসা রয়েছে। অফিস রয়েছে নিউটাউন ও হাইড রোডে। সূত্রের খবর, এদিন ওই ব্যবসায়ীর গার্ডেনরিচের বাড়ির দোতলার ঘর থেকে যে টাকা উদ্ধার হয়েছে তার বেশিরভাগই ছিল পাঁচশো টাকার নোট। তবে কিছু দুহাজার টাকার নোটের বান্ডিলও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। অন্য কোথাও আরও টাকা রয়েছে কিনা, খুঁজে দেখতে বাড়ির আনাচকানাচ তল্লাশি করছেন আধিকারিকরা। ব্যাঙ্কের দুজন আধিকারিক এর মধ্যেই পৌঁছে গিয়েছেন ওই বাড়িতে। মোবাইল অ্যাপের মাধ্যমে প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় এদিনের তল্লাশি করছে ইডি।
তল্লাশি শহরজুড়ে...
এদিন সকালে সিজিও কমপ্লেক্স থেকে ইডি-র তিনটি দল বেরিয়ে যায়। শহরজুড়ে একযোগে তল্লাশির জন্যই এই তৎপরতা। একটি দল গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল গলিতে পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়িতে যায়। তাতে দুই মহিলা অফিসারও ছিলেন বলে খবর। কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ব্যবসায়ীর বাড়ি ঘিরে তল্লাশি অভিযান চলছে। অন্য দিকে পার্ক স্ট্রিট থানা এলাকার ৩৪-এ নম্বর ম্যাকলয়েড স্ট্রিটের একটি বহুতলে এক আইনজীবীর খোঁজে হানা দেন ইডি আধিকারিকদের দ্বিতীয় দলটি। আর তৃতীয় টিম পৌঁছয় মোমিনপুরে। পরে নিউ টাউনে তল্লাশির কথাও শোনা যায়। মোবাইল অ্য়াপে প্রতারণা সংক্রান্ত মামলায় একযোগে অভিযান এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের।