রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ: প্রতিবার নির্বাচন এলেই অস্ত্র, তাজা বোমা (curd Bomb) ও গুলির অস্ত্রভাণ্ডারে পরিণত হয় পশ্চিমবঙ্গ ()। বিভিন্ন জায়গা পুলিশের তরফে নাকা চেকিং চালিয়ে প্রচুর অস্ত্র ও নগদ টাকা বাজেয়াপ্ত করলেও নির্বাচনে কালো টাাকর বেআইনি ব্যবহার এখনও পুরপুরি বন্ধ করা যায়নি। তার প্রমাণ ফের পাওয়া গেল মুর্শিদাবাদে। লোকসভা ভোটের আগে এভাবে বোমা উদ্ধারের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল উত্তেজনা ছড়িয়েছে স্থানীয় এলাকায়। 


স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মুর্শিদাবাদের দৌলতাথানার বেঁউচিলতায় ইয়াদ আলির  জমিতে থাকা একটি নিম গাছের তলায় একটি ব্যাগ ও এক বালতি ভর্তি বোমা চোখে পড়ে জমির মালিকের। বিষয়টি দেখার পরে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে ইয়াদ আলি এবং তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় দৌলতাবাদ থানায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দৌলতথানার পুলিশ। তারপর পুলিশ প্রশাসন খবর দেয় বম স্কোয়াড টিমকে। পুলিশ প্রশাসন সোমবার সারাদিন রাত ঘটনাস্থল পাহারা দেওয়ার পর ঘটনাস্থলে মঙ্গলবার বিকেলে বম্ব স্কোয়াড টিম এসে পৌঁছায় । তারপর স্কোয়াড টিম ফাঁকা মাঠে এগারোটি তাজা বোমা নিষ্ক্রিয় করে বলে জানা যায়।


আরও পড়ুন: TMC Election Manifesto: বর্ধিত হারে মজুরি, বিনামূল্যে LPG, ৫০ শতাংশ MSP…তৃণমূলের ইস্তেহারে 'দিদির ১০ শপথ'


প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রামনবমীর দিন বহরমপুরে রামনবমীর শোভাযাত্রা বের করেছিলেন বিভিন্ন হিন্দু সংগঠনের সদস্যরা। তাঁদের সেই মিছিলে পাথর ছোড়ার অভিযোগ ওঠে একদল দুষ্কৃতীর বিরুদ্ধ। পালটা প্রতবাদ -জানানোকে কেন্দ্র করে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। এর জেরে পরিস্থিতি ক্রমাশ জড়িল হয়ে পড়ে। অবস্থা পর্যালোচনা করে বহরমপুরে লোকসভা আসনে নির্ধারিত দিনের পরিবর্তে অন্যদিন ভোট করানোর নির্দেশ দেয় কলকাতা হাইকোর্ট।  এই বিষয়টি নিয়ে এখনও জলঘোলা চলছে। এদিকে বহরমপুরের পুলিশের পক্ষ থেকে এখনও পর্যন্ত ওই গণ্ডগোলের সঙ্গে যুক্ত কাউকে ধরতে পারেনি বা উদ্ধার হয়নি কোনও অস্ত্রও। যা নিয়ে কলকাতা হাইকোর্টের ভর্ৎসনার মুখেও পড়তে হয়েছে তাদের। বহরমপুরের নির্বাচনও পিছিয়ে দেওয়ার নির্দেশ কমিশনকে দিয়েছে হাইকোর্ট। বর্তমান পরিস্থিতির উপর ভিত্তি করেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা। 


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee: I.N.D.I.A জোটকে নেতৃত্ব দেবে তৃণমূলই, অসমে বড় ঘোষণা মমতার


আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে।