রাজীব চৌধুরী, মুর্শিদাবাদ:  হুমায়ুন, তৃণমূল সংঘাত চরমে। সাসপেন্ড করা হল তৃণমূল বিধায়ক হুমায়ুন কবীরকে। 'দল থেকে সাসপেন্ড হুমায়ুন কবীর', সাংবাদিক বৈঠক করে জানালেন ফিরহাদ হাকিম। আর এই পরিস্থিতিতেই তৃণমূল সরকারকে পাল্টা এক হাত নিলেন তিনি।  

Continues below advertisement

আবারও একবার তৃণমূল-সরকারকে আক্রমণ করে সাসপেন্ডেড হুমায়ুন কবীর বললেন, ' মুসলমানদের মসজিদ তৈরি করতে বাধা দিচ্ছে, এদিকে সরকারি টাকায় ভুরি ভুরি মন্দির তৈরি হচ্ছে। ১১০০ কোটি টাকা দামের একটা জায়গা, নিউটাউন রাজারহাটে মুখ্যমন্ত্রী আবার একটা মন্দির তৈরির জন্য দিয়ে দিয়েছেন। এই ক্ষমতা কতদিন থাকে, আমি বেঁচে থাকলে দেখব....বেশ করেছি। বেশ করেছি। ক্ষমতা থাকলে রুখে নেবে। এরকম আরএসএস মার্কা মুখ্যমন্ত্রীর চেয়ে ডায়রেক্ট বিজেপির কেউ মুখ্যমন্ত্রী হলে আমি ওয়েলকাম জানাব '। 

মুসলিমদের বোকা বানাচ্ছে তৃণমূল : হুমায়ুন 

Continues below advertisement

এদিকে তৃণমূলের যুক্তি, তিনি তৃণমূলের ভরতপুরের বিধায়ক। তাঁর বাড়ি রেজিনগরে। কিন্তু তিনি বেলডাঙাতে কেন বাববি মসজিদ তৈরি করতে চাইছেন? আসলে বেলডাঙায় কিছুদিন আগেই সাম্প্রদায়িক অশান্তি হয়। এই এলাকায় বাবরি মসজিদ তৈরি করে তিনি সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিতে চাইছেন, যার প্রভাব ভোটে পড়তে পারে। আদতে ভোটে বিজেপিকে সাহায্য করতেই এই কাজ করছেন হুমায়ুন। 

সাসপেন্ড হওয়ার পরে হুমায়ুন সরাসরি আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রীকে । বলেন, 'কতদিন এই ক্ষমতা থাকে দেখব। আমার বিরুদ্ধে যা খুশি করে নিক মুখ্যমন্ত্রী, দেখে নেব। বিজেপি সাম্প্রদিক দল আর মুসলিমদের বোকা বানাচ্ছে তৃণমূল। মুসলমানদের ভোট নিয়ে ক্ষমতায় আসছে। অথচ মুসলমান জনপ্রতিনিধিদের কোনও গুরুত্ব নেই। ' 

'যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার হোলি খেলছেন ...'

এদিকে এদিনই মুর্শিদাবাদের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রীর তাৎপর্যপূর্ণ মন্তব্য, ''মুর্শিদাবাদের মানুষ দাঙ্গার রাজনীতি পছন্দ করে না। মুর্শিদাবাদের ইতিহাস আমরা ভুলতে পারি না। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতিকে আমরা রক্ষা করতে চাই। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষা করা সংবিধান শিখিয়েছে। সব ধর্মকে শ্রদ্ধা করে তৃণমূল। ধুলিয়ানে একটি ঘটনা ঘটেছিল। তৃণমূল সাম্প্রদায়িকতার বিরুদ্ধে। ৬ ডিসেম্বর আমরা সম্প্রীতি দিবস পালন করি। যাঁরা সাম্প্রদায়িকতার হোলি খেলছেন, তাঁরা সতর্ক থাকবেন''  

এটাই প্রথম নয়, এর আগেও ২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি দল বিরোধী কাজের জন্য হুমায়ুন কবীরকে ৬ বছরের জন্য বহিষ্কার করে তৃণমূল কংগ্রেস। এবার এই ঘটনার জল কোনদিকে গড়ায় , সেটাই দেখার।