উজ্জ্বল মুখোপাধ্যায়, বেলডাঙা : রেজিনগরের সভা থেকে নতুন দলের ঘোষণা করবেন হুমায়ুন কবীর। নতুন দলের নাম 'জনতা উন্নয়ন পার্টি', সভার আগেই এবিপি আনন্দকে জানিয়েছেন ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়ক। নতুন দল তৈরির দিনই আরও বেশ কয়েকটি আসনে প্রার্থীর নাম ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে হুমায়ুন কবীরের। নিজে ২টি আসন থেকে লড়াই করবেন বলে জানিয়ে দিয়েছেন। এর পাশাপাশি তালিকায় রয়েছেন আরও চার হুমায়ুন কবীর। তাঁরা কারা ? কোন আসন থেকে প্রার্থী হতে পারেন ?

Continues below advertisement

হুমায়ুন বলেন, "আমি ২টো আসনে লড়ব। রেজিনগর ও বেলডাঙা। আর ডাক্তার হুমায়ুন কবীর, যিনি ২০১৬ সালে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁর দলে রানিনগর বিধানসভা কেন্দ্রে টিকিট দিয়েছিলেন। তৃণমূলের লোকেরাই তাঁর পরাজয় ঘটিয়েছিল। তাঁদের পছন্দ হয়নি, একজন ব্যক্তি...ডাক্তার মানুষ। তিনি মুর্শিদাবাদের একজন পরিচিত বিশিষ্ট চিকিৎসক। রানিনগরে সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে আমার প্রতীক নিয়ে লড়বেন। আর একজন হুমায়ুন কবীর ভগবানগোলায়। বর্তমান উপনির্বাচনে যে বিধায়ক রিয়াত হোসেন...৯ হাজার বা ১০ হাজার ভোটে জিতেছেন, তাঁর বিরুদ্ধে আমার একজন প্রার্থী ভগবানগোলায় বিশিষ্ট ব্যবসায়ী...তাঁর নামও আজ হবে। তার মানে, আজ মুর্শিদাবাদে ৪ হুমায়ুন কবীর...রানিনগর, ভগবানগোলা, রেজিনগর ও বেলডাঙা। এক হুমায়ুন কবীর ২টিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।"

তিনি আরও বলেন, "আর একজন হাজি মানুষ, যাকে আমি বাংলার যে ক'টা জেলা আছে তারমধ্যে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাপতি হিসাবে ঘোষণা করব। একটাই সভাপতি ঘোষণা হবে আজ। সম্পূর্ণ রাজ্য কমিটি হবে। বাকি, একজনই সভাপতি মেদিনীপুরে। হাজি সাহেব। ওঁকেও ওখানে গ্রামীণ আর শহর ২টো সিট আছে, যেটা দিলীপ ঘোষ বিধায়ক ছিলেন...। আর একটাও সম্ভাব্য হতে পারে মালদা। বৈষ্ণবনগর আসন। উনি এসে গিয়েছেন। মহিলা প্রার্থী করব। কারণ, আমাকে তো সমন্বয় রাখতে হবে। মহিলাদের রাখতে হবে। জেনারেল, ওবিসি, এসসি, এসটি। আর একটা হুমায়ুন কবীরের সম্ভাবনা প্রবল। তিনি হচ্ছেন রামপুরহাটের হুমায়ুন কবীর। তিনিও বিশিষ্ট ব্যবসায়ী। স্টোন চিপসের কয়েকটি খাদান আছে। হুমায়ুন কবীরের অপর নাম ভাগ্যবান। ফলে, ভাগ্যবান যারা হবেন তাঁরা তো নিশ্চয়ই গুরুত্ব পাবেন।" 

Continues below advertisement

নতুন দল। এক নম্বর ঘোষণা কী হবে ? এই প্রশ্নের উত্তরে হুমায়ুন বলেছেন, "এক নম্বর ঘোষণা, বাংলার মানুষের উন্নয়ন করা। সিপিএম ৩৪ বছরে ভোটব্যাঙ্ক হিসাবে বাংলার মানুষকে ব্যবহার করে তাদের ক্যাডার-ভিত্তিক করা। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে স্পর্শ করা যায় না। সাধারণ মানুষ স্পর্শ করতে পারেন না। তাঁর আধিকারিকরা...আমলাতান্ত্রিক দল চলছে।"