আশাবুল হোসেন, কলকাতা : আজ নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে BLA-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কলকাতা ও পার্শ্ববর্তী তিন জেলার BLA-দের সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। SIR-এর খসড়া তালিকায় ৫৮ লক্ষের বেশি নাম বাদ গেছে, তা নিয়ে সরগরম রাজ্য রাজনীতি। বাদ যাওয়া ভোটারদের পাশে দাঁড়াতে ময়দানে ঝাঁপিয়ে পড়েছে তৃণমূল। রাজ্যের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিধানসভা কেন্দ্রে হাজার হাজার ভোটারের নাম বাদ গেছে। বাদ যাওয়া নামের মধ্যে, খোঁজ পাওয়া যায়নি ১২ লক্ষ ২০ হাজার ৩৯ জন ভোটারের। অন্যান্য কারণে বাদ পড়া নামের সংখ্যা ৫৭ হাজার ৬০৪। 'নো ম্যাপিং'য়ে থাকা প্রায় ৩০ লক্ষ ভোটারের কার্যত শুনানি হতে চলেছে বলে কমিশন সূত্রে খবর। আজকের বৈঠকে BLA-দের ভূমিকা নিয়ে বার্তা দেওয়া হতে পারে দলীয় স্তরে। বাদ যাওয়া ভোটারদের নথিপত্র সংক্রান্ত বিষয়ে সাহায্য নিয়েও দেওয়া হতে পারে পরামর্শ । ইতিমধ্যে ভবানীপুরে নিজের বিধানসভা কেন্দ্রের BLA-দের নিয়ে বৈঠক করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজ নেতাজি ইন্ডোরে বৈঠকের আগে বিভিন্ন জায়গায় হয়েছে প্রস্তুতি বৈঠক।
বিস্তারিত...
তৃণমূল মনে করছে, এরমধ্যে প্রচুর বৈধ ভোটার রয়েছে। প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের অভাবে বা অন্যায়ভাবে তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে, শুনানির সময় এই ধরনের ভোটারের পাশে থাকা খুব জরুরি। এই ধরনের বার্তাকে সামনে রেখেই আজকের বৈঠক। প্রয়োজনে বৈধ নথি জোগাড়ে তাঁদের সাহায্য করতে হবে। কোনও অবস্থাতেই কোনও বৈধ ভোটারের নাম যাতে বাদ না যায় সেটা সুনিশ্চিত করতে হবে। কলকাতা, দুই ২৪ পরগনা এবং হুগলি, এই চার জেলার ৪০টি বিধানসভা কেন্দ্রের বুথ লেভেল এজেন্টদের ডাকা হয়েছে। সবমিলিয়ে প্রায় ১৪ হাজার BLA আজ এই বৈঠকে থাকবেন।
যাদের নাম বাদ গেছে তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ নিতে হবে। SIR-এর খসড়া তালিকা প্রকাশ হতেই, ভবানীপুর কেন্দ্রের BLA-র নিয়ে বৈঠকে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর কেন্দ্র ভবানীপুরে বাদ গেছে ৪৪ হাজারের বেশি নাম। শুভেন্দু অধিকারীর কেন্দ্রে বাদ গেছে সাড়ে ১০ হাজারের বেশি নাম।
যাদের নাম বাদ গেছে, তাঁদের প্রত্যেকের বাড়িতে গিয়ে খোঁজ করতে হবে। জীবিত আছেন, অথচ মৃত বলে দেখানো হয়েছে কি না দেখতে হবে। শুনানির সময় সবার পাশে দাঁড়াতে হবে। নথি নিয়ে সমস্যা হলে 'May i help you' ক্যাম্পে নিয়ে যান। খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশের দিনই, নিজের বিধানসভা কেন্দ্র, ভবানীপুরের দলীয় BLA-দের সঙ্গে বৈঠক করে এমনই নির্দেশ দিয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।