কলকাতা: বালিগঞ্জের প্রার্থী ঘোষণা করেও প্রত্যাহার হুমায়ুন কবীরের। নিশা চট্টোপাধ্যায়কে জনতা উন্নয়ন পার্টির প্রার্থী করেও প্রত্যাহার করে দিয়েছেন তিনি। হুমায়ুন কবীরের দাবি, 'সোশাল মিডিয়ায় ওনার অঙ্গভঙ্গি ভাল নয়। বিধানসভার মতো পবিত্র জায়গায় এরা অযোগ্য। ৭দিনের মধ্যে বালিগঞ্জে অন্য কোনও মুসলিম প্রার্থীর নাম জানিয়ে দেব।' এহেন পরিস্থিতিতে বিতর্ক তুঙ্গে, এবার বিশেষ সাক্ষাৎকারে নিশা চট্টোপাধ্যায়।
নিশা চট্টোপাধ্যায় বলেন, আমি কোনও পার্টি করি না, নতুন একটা পার্টি তৈরি হচ্ছে, সেই জন্য সেখানে আমাকে একটা পদে রাখার জন্য, জায়গা দেওয়া হয়েছিল। তো সেই হিসেবেই আমি গিয়েছিলাম। আমি কোনও বিধানসভা লড়ার জন্য..
প্রশ্ন: তৃণমূল কংগ্রেসের আইটি সেল, তাঁরাই প্রথম আপনার ছবি এবং ভিডিও দিয়ে ভাইরাল করে, যেটা ওনার কাছে একটা বড় ইমপ্যাক্ট হয়েছে।
নিশা চট্টোপাধ্যায় : দেখুন বলতে গেলে তো অনেক কিছু বলা হয়ে যাবে, নুসরত জাহান-মিমি চক্রবর্তীরও অনেক ভিডিও রয়েছে, তাঁরা কি (কোনও পদে) দাঁড়ায়নি ? তাঁরা কি এমপি এমএলএ হয়নি ? আমি তো মধ্যবিত্ত ঘরের। আমি একটু সোশ্যাল ওয়র্ক করি। মানুষের যেটা ভুল হয়, সেটা আমি ঠিকের জায়গায় নিয়ে যাই। সেটা যেই পার্টিই হোক, সেটা ভুল তো ভুল। আর যেটা ঠিক তো ঠিক, আর সেটার জন্য দাঁড়াতে পারি,...আমার উচিত যে আমি জনতার জন্য করি, আমাকে পার্টি বলেছিল বলেই আমি গিয়েছিলাম। এখন আসার পর এত কিছু দেখছি, এত বাবরি মসজিদ-বাবরি মসজিদ, একটা বাঙালি মেয়েকে হঠিয়ে একটা মুসলিমকেই নিয়ে আসবে। তাহলে সেটা সেক্যুলার পার্টি কী করে হল ? তাহলে আমার যে এত মানসম্মান যাচ্ছে, আমি যে এত ট্রোল হচ্ছি, আমি যেই পার্টির জন্য দাঁড়িয়ে আমার নাম খারাপ হচ্ছে, প্রতিবেশীরা উল্টো বলছে, সেগুলি তো মেনে নিতে পারছি না।
প্রশ্ন: হিন্দু বলেই বাদ হয়েছেন ?
নিশা চট্টোপাধ্যায় : হিন্দু বলেই বাদ হয়েছি, নাহলে বাবরি মসজিদকে, আমি একটা বাঙালি মেয়ে হয়ে, আমরা সবাই বলছি যে, সাপোর্ট করব, আমরা যেমন মন্দিরও করব, মসজিদও করব। তারপরেও যদি আমাকে সেই জায়গা থেকে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়, তাহলে আমার মনে হয় না এটা কোনও সেক্যুলার পার্টি।
প্রশ্ন: বলা হচ্ছে যে, তৃণমূলের একাংশ থেকে ওনার দলে (হুমায়ুন কবির) লোক ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে, যাতে ..
নিশা চট্টোপাধ্যায় : না এরকম কোনও ব্যাপার না, আমি কোনও পলিটিক্স করি না। আমি যদি কোনও পার্টি থেকে ছেড়ে আসতাম, তাহলে এই কথাটা বলতে পারতেন।