কলকাতা: বাবরি মসজিদের শিলান্যাসের পরেই বার্তা হুমায়ুন কবীরের। সদ্য সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়কের গলায় শোনা গেল নতুন হুঙ্কার। নতুন দলের আত্মপ্রকাশের আগে সদ্য সাসপেন্ডেড তৃণমূল বিধায়কের গলায় 'কিং মেকার'-এর সুর।
ভরতপুরের সাসপেন্ডেড তৃণমূল নেতা ও বিধায়ক হুমায়ুন কবীর বলেন, 'আমার পার্টি ছাড়া কেউ মুখ্যমন্ত্রী হতে পারবে না, আমার সমর্থন লাগবেই। আমরা এখন এমনই অবস্থায় আছি। ধীরে ধীরে সেটা প্রমাণ করে ছাড়ব। প্রচারেও করব, নির্বাচন কমিটিতেও সেটা দেখাবো। যাদের প্রার্থী করব, তাদের তালিকা দেখলেই বুঝবে সকলে। হুঙ্কার দিচ্ছি না। আমি করে দেখানোর লোক। ২২ ডিসেম্বর আসতে দিন, ১ লক্ষের জমায়েত করব'।
২২ ডিসেম্বর নতুন দল ঘোষণাকে সামনে রেখে এ যেন রীতিমতো চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিলেন হুমায়ুন কবীর।
এদিকে, শনিবার মুর্শিদাবাদে বাবরি মসজিদের শিলান্যাস ঘিরেও ছত্রে ছত্রে উঠে এল সেই রাজনীতি। ধর্মীয় আবেগ উস্কে দিয়ে হুমায়ুন কবীর দাবি করলেন, তাঁকে বাবরি মসজিদ করতে বাধা দেওয়া হয়েছে। সদ্য সাসপেন্ডেড বিধায়ক হুমায়ুন কবীরের নিশানায় যখন তৃণমূল, তখন আক্রমণের জোর আরও বাড়িয়েছেন শুভেন্দু অধিকারীও।
রাজ্যের বিরোধী দলনেতা বলেন, 'মৌলবাদী মুসলিমদের কাছে আজকে আত্মসমর্পণ করলেন পশ্চিমবঙ্গ সরকার, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আজকে মমতার আমলে আরবি সংস্কৃতি, মোগল-পাঠানদের সংস্কৃতি পশ্চিমবাংলায় বীজ পোতা হল ৫০০ পুলিশের প্রোটেকশনে। হিন্দুরা আজকের বেলডাঙার ঘটনা দেখে শিক্ষা নিন।'
যদিও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, 'মনে রাখবেন, ইন্ডিপেন্ডেন্টরা (নির্দল) ভোট কাটলে আপনার লোকসান। বিজেপির সুবিধা। সুবিধা করতে কাউকে দেবেন না। সাম্প্রদায়িক শক্তিতে কান দেবেন না। নির্দলদের ভোট দেবেন না। যাদের কোনও দল নেই, টাকা নেয় তারা নির্দল।'
হুমায়ুন কবীর নতুন দল গড়লে আদৌ কি সংখ্যালঘু ভোটে কোনও প্রভাব পড়বে? আখেরে এতে কার লাভ? কারই বা ক্ষতি? মুর্শিদাবাদের এই ধর্ম-রাজনীতি ২০২৬-এর বিধানসভা ভোটে কতটা প্রভাব ফেলবে? এই প্রশ্নই উঠছে এখন!