তুহিন অধিকারী, বাঁকুড়া: দামোদরের (damodar) গর্ভে আর কত রহস্য লুকিয়ে?
শুক্রবার থেকে ফের জোরালো হয়েছে চর্চা। এত বড় মাছ (humungous fish) যে দামোদরের বুকেই রয়েছে তা এত দিন টের পাননি পোড়খাওয়া জেলেদের অনেকে। আকারে বিশাল, বড় বড় দাঁত, সঙ্গে জুতসই পাখনা। গত কাল তা জালে উঠতেই মুখে মুখে খবর ছড়িয়ে পড়ে। বিশালাকার ও বিরাট ওজনের ওই মাছ দেখতে ভিড় জমান উৎসাহীরা। হইহই  চিৎকারে বাঁকুড়ার (bankura) পাত্রসায়র থানার শিল্লা ঘাটে তখন কান পাতা দায়।


মৎস্য মারিব খাইব সুখে..


কোথা থেকে এল সে? সাকিন-ঠিকানা কী? আপাতত এই নিয়েই তুমুল জল্পনা স্থানীয়দের মধ্যে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, শুক্রবার দুপুরে হঠাতই শিল্লা ঘাটের এক জেলে টের পান, তাঁর জালে বিশালাকার কিছু একটা ধরা পড়েছে। অন্যদের সঙ্গে নিয়ে দামোদরের বুক থেকে সেটি তুলে আনার চেষ্টা শুরু হয়। কিন্তু একী! এত অদ্ভুত মাছ এল কোথী থেকে? খোঁজখবর করে জানা যায়, পূর্ব বর্ধমানের গলসি থানার এক জেলের জালেও ধরা পড়েছিল একই ধরনের একটি মাছ। কিন্তু বাঁকুড়ার পাত্রসায়র বা পূর্ব বর্ধমানের গলসি, কোথাওই কেউ এত বড় মাপের মাছ আগে কখনও দেখেননি। পরে দেখা যায়, সেটির ওজন প্রায় ৩০ কিলোগ্রাম।


 মীনরূপে কে তুমি?


দৈত্যাকার মাছটি খুব পরিচিত না হলেও অদ্ভুত ভাবে স্থানীয় ভাষায় তার একটি নাম রয়েছে। 'কেনো মাছ', এই নামেই তাকে ডাকেন স্থানীয়রা।    বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন মাছটি 'বাগারিয়াস স্প্যাসিস' প্রজাতির। তারই স্থানীয় নাম বৈগার বা কানা বাগার মাছ। মূলত বড় বড় বাঁধে দেখা যায় এদের। তবে সবথেকে বেশি দেখা যায় উত্তরপ্রদেশের কালি নদীতে। বাঁকুড়ার মুকুটমণিপুরেও একবার এই মাছের দর্শন মিলেছিল। সাধারণত এরা গভীর জলাশয়ে থাকতে পারে। জলের স্রোত যেখানে বেশি, সেখানেই এদের দেখা বেশি মেলে। আপাত ভাবে ধারণা, উদ্ধার হওয়া মাছটি দামোদরের জলে স্রোতে ভেসে এসে জেলের জালে আটকে যায়। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, দামোদরের বুকেও বৈগার বা কানা বাগার মাছ রয়েছে। তবে তাদের সংখ্যা ক্রমশ কমছে বলেই আশঙ্কা। 


আরও পড়ুন:২৫ লক্ষ টাকা লটারির টোপ, প্রতারণার 'ফাঁদে' শান্তিনিকেতনের যুবক