শান্তনু নস্কর, ক্যানিং (দক্ষিণ ২৪ পরগনা): স্ত্রীকে গুলি করে খুনের (Wife Murder) অভিযোগে গ্রেফতার স্বামী (Husband Arrested)। দক্ষিণ ২৪ পরগনার (Dakshin 24 Parganas) ক্যানিংয়ের দক্ষিণ ডেভিসাবাদ গ্রামের ঘটনা। বুধবার গভীর রাতেই এই খবর পেয়ে পুলিশ মৃতদেহ উদ্ধার করে। ময়নাতদন্তের জন্য দেহটি নিয়ে যাওয়া হয়েছে।
কী জানা গেল?
নিহতের নাম ছেলিমা লস্কর সর্দার। বয়স ৩১ বছর। অভিযুক্ত স্বামীর নাম বাবুরালি সর্দার। গত কাল গভীর রাতে ঘটনাটি ঘটে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে খবর, বছর পাঁচেক আগে বিয়ে হয়েছিল ছেলিমা ও বাবুরালির। অভিযোগ, টাকাপয়সার জন্য তার পর থেকেই স্ত্রী ছেলিমাকে মারধর করতো বাবুরালি। নগদ টাকা, মোটর ভ্যান-সহ স্বামীর বহু দাবি পূরণ করলেও কোনও ভাবেই অত্যাচার কমেনি ছেলিমার উপর, শোনা গিয়েছে এই কথাও। বুধবার সেই সাংসারিক বিবাদের জেরেই স্ত্রীকে গুলি করে খুন করে বাবুরালি, অভিযোগ এমনই। মাথার পিছনে গুলি করা হয়েছে বলে পুলিশের দাবি। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় ছেলিমার। গত মার্চে অন্য একটি ঘটনায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠেছিল স্বামীর বিরুদ্ধে। তবে নদিয়া জেলার ওই ঘটনায় পরে আত্মঘাতী হয়েছিল অভিযুক্ত স্বামীও। প্রাথমিক ভাবে উঠে আসে, সাংসারিক অশান্তির জেরেই এই পরিণতি।
নদিয়ায় যা ঘটেছিল...
নদিয়ার ঘটনায় স্থানীয় সূত্রে জানতে পারা যায়, ১২ বছর আগে এলাকারই যুবক জয়ন্ত সর্দারের সঙ্গে বিয়ে হয় দিপালী সর্দারের। বিয়ের পর থেকেই স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি লেগে থাকত। আর সেই কারণে স্বামী-স্ত্রী আলাদা থাকতে শুরু করেন। মাঝেমধ্যে এসে জয়ন্ত তার স্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতেন। ঘটনার দিন স্বামী স্ত্রীর মধ্যে অশান্তি হয়। অভিযোগ, স্ত্রীকে মারধরও করেন জয়ন্ত। পরে ধানের জমির মধ্যে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় মৃতদেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর দেওয়া হয় কৃষ্ণগঞ্জ থানায়। পুলিশ এসে মৃতদেহটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়। অন্যদিকে মাজদিয়া স্টেশন থেকে কিছুটা দূরে স্বামী জয়ন্তর মৃতদেহ উদ্ধার করে রেল লাইনের ওপর থেকে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান স্ত্রীকে খুন করার পর স্বামী রেলের লাইনে গলা দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছিলেন। গোটা ঘটনার তদন্ত শুরু করে কৃষ্ণগঞ্জ থানার পুলিশ। এর কিছুদিন আগে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এক মহিলাকে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্তকে ফাঁসির সাজা দেয় কাকদ্বীপ অতিরিক্ত জেলা দায়রা আদালত। ঘটনাটি ঘটেছিল ২০১৮ সালের ১২ এপ্রিল। পুলিশ সূত্রে খবর, দক্ষিণ ২৪ পরগনার দ্বারিকনগরের ওই গৃহবধূর সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সমর পাত্র নামে এক যুবকের। । অভিযোগ, সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে বকখালির একটি হোটেলে নিয়ে গিয়ে গৃহবধূকে শ্বাসরোধ করে খুন করেন সমর। ধারাল অস্ত্র দিয়ে ক্ষতবিক্ষত করেন মহিলার শরীর। তারপর রাতের অন্ধকারে হোটেলের জানালা ভেঙে পালিয়ে যায়।