আবির দত্ত, কলকাতা: রাত পোহালেই ২১ জুলাই (TMC Shahid Diwas 2023)। ধর্মতলায় মঞ্চ প্রায় তৈরি। সঙ্গে চলছে একেবারে চূড়ান্ত (Preparation) মুহূর্তের সুরক্ষা-প্রস্তুতি। তৃণমূলের শহিদ দিবসে প্রত্যেক বছরই বিপুল জনজোয়ার হয় ধর্মতলায়। কী ভাবে সামলানো হবে সবটা? 


যা জানা যাচ্ছে...
আপাতত স্থির হয়েছে, ২১ জুলাইয়ের দিন অতিরিক্ত ৫০০০ পুলিশ মোতায়েন করা থাকবে। রাস্তায় থাকবেন ডেপুটি কমিশনার পদমর্যাদা ৩১ জন অফিসার। যুগ্ম কমিশনার পদমর্যাদা ৮ জন অফিসারকে রাখারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি, অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার পদমর্যাদা ৮০ জন অফিসার থাকবেন। ২০ টি উঁচু ছাদ থেকে নজরদারি চালাবে পুলিশ। আপৎকালীন পরিস্থিতি সামলাতে ১৮টি অ্যাম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা থাকছে। হেল্প ডেস্ক থাকবে ৪৮টি। বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের ৪টি টিমও থাকবে প্রস্তুত থাকবে। থাকবে ৬টি কুইক রেসপন্স টিমও। এছাড়া মেট্রোয় বিশেষ নজরদারির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। সিসি ক্যামেরা থাকছে ৪৫টি। 


আসতে শুরু করেছেন নেতা-কর্মীরা...
২১ জুলাইয়ের জন্য এর মধ্যেই দূরের জেলা থেকে শহরে আসতে শুরু করেছেন তৃণমূল নেতা-কর্মীরা। কসবার গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মালদা এবং মুর্শিদাবাদের তৃণমূল কর্মীদের থাকা-খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। গত কাল অর্থাৎ বুধবার এখানকার ব্যবস্থাপনা ঘুরে দেখেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) I কথা বলেন দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে। গীতাঞ্জলি স্টেডিয়ামে মেনুতে থাকছে সয়াবিনের তরকারি আর ডিম, ভাত। অন্য দিকে, সল্টলেকের সেন্ট্রাল পার্কে জলপাইগুড়ি, কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, দুই দিনাজপুর ও দার্জিলিঙের কর্মী-সমর্থকদের থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে। উত্তরবঙ্গ থেকে আসা তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের ভিড় শিয়ালদা স্টেশনে। একের পর এক ট্রেনে কলকাতায় আসছেন তাঁরা। তৃণমূল কর্মী, সমর্থকদের আনতে ব্যবস্থা করা হয়েছে স্পেশাল ট্রেনের। স্টেশন থেকে নিয়ে যাওয়ার জন্য বাসের ব্যবস্থাও করা হয়েছে। একই ছবি হাওড়া স্টেশনেও। এ বছর ২১ জুলাইয়ে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে বিশেষ ভাবে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। কয়েক দিন আগেই রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election) হয়ে গিয়েছে। তাতে ফের স্পষ্ট হয়েছে সবুজ ঝড়ের দাপট। পাল্লা দিয়ে অশান্তি ও ভোট লুটের অভিযোগও উঠেছে। শাসকদল বার বার এগুলিকে 'বিক্ষিপ্ত ঘটনা' এবং 'বিরোধীদের প্ররোচনা' বলে অভিহিত করলেও অস্বস্তির কাঁটা পুরোপুরি এড়ানো গিয়েছে কি? বস্তুত, তৃণমূলেরই একাধিক নেতার মুখে হিংসা-বিরোধী বার্তা শোনা গিয়েছে এর মধ্যে। সব মিলিয়ে দাপুটে জয় সত্ত্বেও বেশ কিছুটা অস্বস্তিতে তৃণমূল, মনে করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা। তার উপর, হালেই আবার, আসন্ন লোকসভা ভোটের কথা মাথায় রেখে বিজেপি-বিরোধী জোটে সামিল হয়েছে তৃণমূল। এই অবস্থায়, ২১ জুলাইয়ের মঞ্চ থেকে তৃণমূলনেত্রী কী বার্তা দেন, সে দিকে নজর থাকবে রাজ্য তথা গোটা দেশের।


আরও পড়ুন:'বন্দে মাতরম উচ্চারণ করতে পারব না', সপা বিধায়কের মন্তব্যে উত্তাল মহারাষ্ট্র বিধানসভা; শুরু বিতর্ক