রঞ্জিত হালদার, দক্ষিণ ২৪ পরগনা: গৃহবধূকে (housewife) শ্বাসরোধ (strangulation) করে মেরে (murder) ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার (arrest) স্বামী (husband)। বারুইপুর (baruipur) থানার ঘটনা। মৃতার নাম অপর্ণা পৈলান বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাঁর বয়স ৩০ বছর।


কী ঘটেছিল?
প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে শিখরবালি 1 নম্বর পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা অপর্ণার সঙ্গে বছর আটেক আগে বিয়ে হয়েছিল সৌমেন পৈলানের। মৃতার পরিবারের অভিযোগ, বিয়ের পর থেকে পণের জন্য অতিরিক্ত টাকা চাইছিল জামাই-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকেরা। হালেই ফের দশ হাজার টাকা চাওয়া হয়। সেই টাকা মেটানোও হয়েছিল বলে দাবি অপর্ণার বাপের বাড়ির পরিজনদের। তার পরও শারীরিক ও মানসিক অত্যাচার বন্ধ হয়নি। এর পরই এই ঘটনা। আপাতত কল্যাণপুর পঞ্চায়েতের কল্যাণপুর দেবীপুরে এলাকার বাসিন্দা সৌমেন পৈলানকে গ্রেফতার করেছে বারুইপুর থানার পুলিশ। পণের দাবিতে বধূ নির্যাতন ও খুনের অভিযোগ অবশ্য এই রাজ্যে নতুন নয় একেবারেই। বধূ তো বটেই, তাঁর পরিজনকেও এই অত্যাচারের মুখে পড়তে হয়েছে এমন অভিযোগও রয়েছে। চলতি বছরের মে মাসেই নদিয়ায় এমন একটি ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছিল।


শ্য়ালককে 'খুন'...
সেবার ৬ বছরের শ্যালককে খুনের অভিযোগে নদিয়ার থানারপাড়ায় গ্রেফতার করা হয় জামাইবাবুকে। মুর্শিদাবাদের ডোমকল থেকে উদ্ধার হয় মৃতদেহ। পণের মোটরবাইক না মেলায় শিশুকে শ্বাসরোধ করে খুন বলে প্রাথমিক তদন্তে অনুমান করেছিল পুলিশের। প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, বিহারের পূর্ণিয়ার বাসিন্দা শাহজাদি বিবির সঙ্গে মাস তিনেক আগে সোহেল শেখের বিয়ে হয়। অভিযোগ, বিয়েতে পণ হিসেবে মোটরবাইক চাইলেও শাহজাদির পরিবারের তরফে তা দেওয়া হয়নি। বিয়ের কিছুদিন পর বাপের বাড়িতে যান শাহজাদি। দিন সাতেক আগে ৬ বছরের ভাইকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতে ফেরেন তিনি। অভিযোগ, বাইকের বদলে ভাইকে সঙ্গে নিয়ে আসায় ওই দিনই তাঁকে মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কিন্তু এতেই শেষ হয়নি। মুর্শিদাবাদের ডোমকলের ফুলবাড়িতে নদীর ধারে ঝোপের মধ্যে শিশুর দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মৃতের পরিবারের দাবি ছিল, ৬ বছরের শ্যালককে নিয়ে বেড়াতে বের হয়েছিলেন সোহেল শেখ। কিন্তু একা বাড়িতে ফিরে আসায় দিদির সন্দেহ হয়। অভিযোগ বাড়ি ফিরে অপহরণের গল্প ফাঁদেন সোহেল। দাবি করেন ৫০ হাজার টাকাও।


আরও পড়ুন:দুর্নীতির-অস্ত্র কি ওএমআর শিট? ইঙ্গিত সিবিআই তদন্তে