কলকাতা: 'কালীঘাটের কাকুকে চিনি না, নিজাম প্যালেস থেকে বেরনোর সময় দাবি করেছিল কুন্তল ঘোষ (Kuntal Ghosh)। তবে সে দাবি কার্যত নস্যাৎ করে তাপস মণ্ডলের (Tapas Mondal) দাবি, 'সব চেনে, সবাইকে জানে কুন্তল'। এ দিন নিজাম প্যালেস (Nizam Palace) থেকে বেরনোর সময়েই এমন মন্তব্য করেন তিনি। সূত্রের খবর, নিয়োগ দুর্নীতির (Recruitment Corruption) টাকা কোন কোন জায়গা থেকে এসেছিল? কাদের পকেটে ঢুকেছে? এই সমস্ত তথ্যও আজ আদালতে তুলে ধরবে সিবিআই (CBI)। তাপস, কুন্তল ও নীলাদ্রির জামিনের বিরোধিতা করে তদন্তে উঠে আসা নতুন তথ্য পেশ করা হবে। গোপাল দলপতি, কুন্তল ঘোষ ও তাপস মণ্ডলকে জেরায় মেলা তথ্য কেস ডায়েরির মাধ্যমে পেশ করা হবে।
'কালীঘাটের কাকু' রহস্য: গোপাল দলপতিই (Gopal Dalapati) প্রথমবার বলেছিলেন, 'কালীঘাটের কাকু'র কথা। গতকাল তাপস মণ্ডল (Tapas Mondal) দাবি করেছেন, সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রই হলেন 'কালীঘাটের কাকু'। যদিও সুজয়ের দাবি, কেন তাঁকে কালীঘাটের কাকু বলা হচ্ছে, তিনি তা জানেন না।
কে সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র? সুনীল গঙ্গোপাধ্য়ায়ের কাকাবাবু ও সিন্দুক রহস্য় পড়েননি, এমন ব্য়ক্তি খুঁজে পাওয়া দায়! কিন্তু, এখন যাবতীয় রহস্য় কালীঘাটের কাকুকে নিয়ে! এই প্রথম প্রকাশ্যে এলেন তাপস মণ্ডল বর্ণিত 'কালীঘাটের কাকু'কে এই 'কালীঘাটের কাকু' সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র? কালীঘাটের সঙ্গে তাঁর যোগযোগ কোথায়? তিনি কতটা প্রভাবশালী? নিয়োগ দুর্নীতির সঙ্গে কি সুজয়কৃষ্ণ ভদ্রের (Sujay Krishna Bhadra) বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে?
এক্সক্লুসিভ সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র: গতকালই এবিপি আনন্দে এক্সক্লুসিভ সাক্ষাৎকারও দিয়েছেন সুজয়। খোলসা করেছেন তাঁর কালীঘাট-কানেকশন। 'কালীঘাটের কাকু' শব্দবন্ধ প্রথমবার শোনা যায়, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে অভিযুক্ত গোপাল দলপতির মুখে। সম্প্রতি, বালিগঞ্জে প্রায় দেড় কোটি টাকা উদ্ধারের ঘটনায় ব্যবসায়ী মনজিৎ সিং গ্রেওয়ালের তৃণমূল-যোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী (Suvendu Adhikari)।
ট্য়ুইটারে লিখেছিলেন, কালীঘাটের কাকু, পিসি, ভাইপো, কাকিমা, বউমা, শ্যালিকা - সবাই একই ধাঁধার অংশ। পৃথকভাবে কেউ দোষী নন, অথচ সবাই একসূত্রে গাঁথা। কয়লা যতই ধোয়া হোক, তা কালোই থাকবে। ঠিক তোমাদের ভবিষ্যতের মতো। কিন্তু, কে কালীঘাটের কাকু?নাম বলেননি কেউ। মঙ্গলবার তাই খোলসা করে নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত তাপস মণ্ডল বলেন,'কালীঘাটের কাকু' হলেন সুজয়কৃষ্ণ ভদ্র।