কলকাতা : অনুব্রত মণ্ডল ( Anubrata Mondal ) রয়েছেন আসানসোলের সংশোধনাগারে ১৪ দিনের জেল হেফাজতে। পার্থ চট্টোপাধ্যায় ( Partha Chatterjee ) আছে প্রেসিডেন্সি জেলে। এই সময় দুর্নীতি ইস্যুতে রাজ্যের শাসকদলের বিরুদ্ধে ক্রমাগত গলা চড়াচ্ছেন বিরোধীরা। পরিস্থিতি আরও উত্তপ্ত করে তুলল বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের ( Sukanta Majumdar ) এক মন্তব্য । তিনি বলেন, ‘পার্থ-কেষ্ট দু’জনই খুব অসুস্থ হচ্ছেন, ‘তৃণমূলের হাকিমকেও রেডি হতে বলুন, ভিতরে পাঠানোর ব্যবস্থা করব’
'হাকিমকে ভিতরে ঢোকাতে হবে'
বিজেপির রাজ্য সভাপতি মন্তব্য করেছেন, ‘দু’জন খুব অসুস্থ হচ্ছেন, কোনও হাকিমকে ভিতরে পাঠালে আর এত অসুস্থ হবেন না’ ! তাঁর এই মন্তব্যকে কেন্দ্র করেই তেতে উঠেছে বঙ্গ রাজনীতির আঙিনা । সুকান্ত কটাক্ষের সুরে বলেন, হাকিমকে জেলে পাঠালে তিনি চিকিত্সা করে সব ঠিক করে দেবেন ! মুর্শিদাবাদের বহরমপুরে এক জনসভা থেকে তিনি এই মন্তব্য করেন । তিনি যা বলেন তার সারবত্তা মোটামুটি এইরকম যে, ' পার্থ আর অনুব্রত অসুস্থতার প্রতিযোগিতা করছেন। বারবার তাঁরা হাসপাতালে যাচ্ছেন। তাই এবার হাকিমকে ভিতরে ঢোকাতে হবে। তাঁকেও প্রস্তুত থাকতে বলুন...'
জেলে যেতে ভয় লাগে না : ফিরহাদ
সুকান্তর এই বক্তব্যকে কেন্দ্র করেই উত্তপ্ত হয়েছে রাজনৈতিক ময়দান। সুকান্তর এই মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় সুকান্ত বলেন,
‘তৃণমূলে থাকলেই অসাধু, বিজেপিতে গেলেই সাধু!’ । ফিরহাদ দাবি করেন, এই কথায় তাঁর আত্মসম্মানে ঘা লেগেছে।
‘সবার একটা আত্মসম্মান আছে, যা ইচ্ছে তাই করা যায় না ..'। তিনি বলেন, ‘অন্যায়ের প্রতিবাদ করব, সারাজীবন লড়ব, জেলে যেতে ভয় লাগে না’ । ফিরহাদ বলেন, ‘গণতন্ত্রে যখন আঘাত আসে, তখন এক নিমেষে সব শেষ হয়ে যায়’। সেই সঙ্গে তিনি মনে করিয়ে দেন, ‘আমি জেলে ছিলাম, হাসপাতালে যাইনি’।
এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায় বলেন, 'সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্য অত্যন্ত অপমানজনক। '