পার্থপ্রতিম ঘোষ, জয়নগর: তৃণমূল নেতার 'হত্যা' (Joynagar Incident) নিয়ে তোলপাড়ের মধ্যেই আইসি বদলের নির্দেশ জয়নগরে (Joynagar IC Transfer)। জয়নগর থানার আইসি রাকেশ চট্টোপাধ্যায়কে বদলির নির্দেশ দেওয়া হয়। তাঁকে ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের স্পেশাল ব্রাঞ্চে পাঠানো হয়েছে বলে খবর। সেই জায়গায় নতুন আইসি হলেন পার্থসারথি পাল। বারুইপুর পুলিশ জেলার ডিআইবি-তে ছিলেন পার্থসারথি পাল। জেলা পুলিশের দাবি, রাকেশ চট্টোপাধ্যায়ের বদলি রুটিন মেনে করা হয়েছে। 


যা জানা গেল...
ওয়াকিবহাল মহলের অবশ্য দাবি, জয়নগর-কাণ্ডের জন্যই আইসি-কে বদলি করা হয়েছে। তবে পুলিশের বক্তব্য, স্রেফ জয়নগর নয়, রুটিন বদলি হয়েছে আরও বেশ কয়েকটি থানায়। এই সূত্রে উঠে আসে টিটাগড় থানার আইসি সমিত মণ্ডলের খবরও। তাঁকেও বদলি করা হয়েছে বলে খবর। টিটাগড় থানার নতুন আইসি হিসেবে এসেছেন তাপস কুমার নস্কর। গত সোমবার ভোরে জয়নগরের তৃণমূল নেতা সইফুদ্দিন লস্করের হত্যার অভিযোগে তোলপাড় শুরু হয়ে যায় গোটা এলাকায়। স্থানীয়দের একাংশ জানান, যারা সইফুদ্দিনকে মারতে এসেছিল, তাদের একজনকে পাকড়াও করা গিয়েছে। অভিযুক্ত একজনের গণপিটুনিতে মৃত্যুও হয় সেদিন। এতেই শেষ নয়। এর পর, জয়নগরের দলুয়াখাকি গ্রামে সিপিএম কর্মী-সমর্থকদের বাড়িতে পাল্টা হামলা চলে বলে অভিযোগ। বাড়ি ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ক্ষোভে ফেটে পড়েন নির্যাতিত গ্রামবাসী। তাঁদের অনেকের মুখেই পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভ শোনা যায় বার বার। কারও অভিযোগ ছিল, যখন হামলা চলছে তখন কোথায় পুলিশ? কারও আবার বক্তব্য, পুলিশের সামনেই যা ঘটার ঘটেছে। বস্তুত, সোমবার দিনভর জয়নগরে যা যা ঘটেছিল, তার সবটিতেই একাধিক প্রশ্ন ওঠে।
এর পর দিন, গত মঙ্গলবার, দলুয়াখাকির ঘরছাড়া সিপিএম কর্মী-সমর্থকরা ফেরার চেষ্টা করলে পুলিশের তরফে তাঁদের বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। যদিও প্রশাসনের তরফে জানানো হয়, গ্রামবাসীদের কাউকে আটকানো হচ্ছে না। কিন্তু তাঁদের সঙ্গে যে সিপিএম নেতারা এসেছেন, তাঁদের ঢুকতে দেওয়া হবে না। একই ভাবে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে আইএসএফ বিধায়ক নৌশাদ সিদ্দিকিকেও। প্রথমে সিপিএম নেতা ও তার পর নৌশাদের সঙ্গে বচসাও হয় পুলিশ আধিকারিকদের। এদিন আবার কংগ্রেসকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে পুলিশের বিরুদ্ধে। তাদের সঙ্গেও পুলিশের সঙ্গে বচসা হয়। কংগ্রেসের দাবি, আজ ত্রাণ সামগ্রী নিয়ে গ্রামে যাচ্ছিল তাদের প্রতিনিধি দল। সব মিলিয়ে জয়নগরের ঘটনাপ্রবাহে একাধিক প্রশ্নের মুখে প্রশাসন। এর মধ্যে আইসি-র বদলি।


আরও পড়ুন:কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে', কংগ্রেসকে নিয়ে সেলিমের মন্তব্যে তীব্র প্রতিক্রিয়া অধীরের; শোরগোল রাজ্য রাজনীতিতে