কলকাতা: 'আপনি যদি বোমা বন্দুক নিয়ে খেলা করেন, তাহলে একদিন সেটা আপনার দিকেই আসবে। আর এরা সবাই সমাজবিরোধী।  তৃণমূল (TMC) এখন সমাজবিরোধীদের দল হয়ে গেছে'। গতরাতে তৃণমূলের নেতা খুন প্রসঙ্গে সোমবার এমনটাই মন্তব্য করেন দিলীপ ঘোষ  (Dilip Ghosh)


ঠিক কী হয়েছিল: ভরসন্ধেয়, জনবহুল এলাকায় বাইক থামিয়ে, চায়ের দোকানে বসে থাকা তৃণমূলের বুথ সভাপতিকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে মাথায় গুলি করে খুন। শুধু তাই নয়, মৃত্যু নিশ্চিত করতে ৪-৫ রাউন্ড গুলি চালিয়ে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তৃণমূল নেতাকে। ঘটনার পর থেকে থমথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বিষ্ণুপুরের আঁধার মানিক গ্রাম। খুনের পিছনে পিছনে সরাসরি বিজেপিকেই দায়ী করেছেন মৃত তৃণমূল নেতার ভাই এবং মা। গেরুয়া শিবির আগেই শাসকদলের গোষ্ঠীকোন্দলের জের বলে দাবি করেছে।


স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রতিদিনের মতোই গতকাল সন্ধেয় চায়ের দোকানে বসেছিলেন তৃণমূলের দুর্গাবাটি অঞ্চলের বুথ সভাপতি সাধন মণ্ডল। বাইকে করে আসে ৩ দুষ্কৃতী। মাত্র কয়েক সেকেন্ডের অপারেশন। মুখ ঢাকা এক দুষ্কৃতী তৃণমূল নেতাকে গুলি করে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বুঝে ওঠার আগেই তারা বাইকে চড়ে চম্পট দেয়।


দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণহানি: আসানসোল, উত্তর দিনাজপুরের গোয়ালপোখরের পরে বাংলায় ফের দুষ্কৃতীদের গুলিতে প্রাণহানি! এবার ডায়মন্ডহারবার লোকসভা কেন্দ্রের অন্তর্গত বিষ্ণুপুরে খুন হয়ে গেলেন তৃণমূল নেতা! ভর-সন্ধেয় চায়ের দোকানে ঢুকে, 


শাসকদলের বুথ সভাপতিকে গুলিতে ঝাঁঝরা করে দিল ৩ দুষ্কৃতী! পঞ্চায়েত ভোটের আগে ভয়াবহ এই ঘটনা ঘটেছে বিষ্ণুপুরের আঁধারমানিক পঞ্চায়েতের দুর্গাবাটি গ্রামে। পুলিশ সূত্রের খবর, মৃত বছর ৩৪-এর সাধন মণ্ডল দুর্গাবাটি গ্রামের ২১৮ ও ২১৯ নম্বর বুথের সভাপতি ছিলেন। 


কী বলছেন  প্রত্যক্ষদর্শীরা? প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, রবিবার সন্ধেয় এলাকার চায়ের দোকানে বসেছিলেন সাধন। সন্ধে সাড়ে ৬টার আশেপাশে ৩ বাইক আরোহী দুষ্কৃতী সেখানে পৌঁছয়। অস্ত্র হাতে তারা ঢুকে পড়ে চায়ের দোকানে। ভয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যান বাকি ক্রেতারা। এরপর সাধন মণ্ডলকে লক্ষ্য করে পরপর বেশ কয়েক রাউন্ড গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। 


আততায়ীরা পালিয়ে যাওয়ার পরে, আমতলা গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় গুলিবিদ্ধ তৃণমূল নেতাকে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছয় বিষ্ণুপুর থানার পুলিশ। ঘটনাস্থল থেকে সংগ্রহ করা নমুনা, পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, ঘটনার নেপথ্যে ব্যক্তিগত শত্রুতা থাকতে পারে। তবে কোনও রাজনৈতিক কারণ আছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
তবে তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের দাবি, হত্যার নেপথ্যে রাজনৈতিক কোনও কারণ রয়েছে। খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে পুলিশ। আততায়ীরা কোন দিকে পালাল, রাস্তার ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখে তা খুঁজে বার করার চেষ্টা চলছে।