বিটন চক্রবর্তী, কোলাঘাট: এগরার খাদিকুলে ভয়াবহ বিস্ফোরণের পর বছর ঘুরতে না ঘুরতেই এবার কোলাঘাটে বিস্ফোরণ (Kolaghat Firecracker Factory Blast)। কোলাঘাটের পয়াগ গ্রামে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণের ঘটনায় একটি মাটির বাড়ি ধূলিসাৎ হয়ে যায়। বিস্ফোরণের অভিঘাতে আশপাশের অন্তত ৪-৫টি বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর। গতকাল রাত ১০টা নাগাদ বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে পয়াগ গ্রাম ও আশেপাশের এলাকা। দমকলের ২টি ইঞ্জিন গিয়ে আগুন নেভায়। স্থানীয় সূত্রে খবর, এই গ্রামে বেশ কিছু বাড়িতে বেআইনি বাজি তৈরি হত। গত বছরের ১৬ মে, এগরার খাদিকুলে বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণ হয়েছিল। মৃত্যু হয় বেআইনি বাজি কারখানার মালিক ভানু বাগ-সহ ১২ জনের।
এরপরেও কীভাবে বেআইনি বাজি কারখানা চলছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
যা ঘটল...
গত কাল, এই ঘটনার পর কোলাঘাট থানার ওসির নেতৃত্বে বিশাল পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়েছিল। আজ সকালেও কোলাঘাট থানার পুলিশ এলাকাটি ঘিরে রেখেছে। আশার খবর বলতে একটাই। এখনও পর্যন্ত কেউ হতাহত হয়েছেন বলে জানা যায়নি। তবে স্থানীয়দের দাবি, যে মাটির বাড়িটি ধূলিসাৎ হয়েছে, সেখানকার এক বাসিন্দা জখম। আপাতত পুলিশ জানতে চায়, ঠিক কী ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছিল? গত বছর, ১৬ মে, এগরার খাদিকুলের একটি বেআইনি বাজি কারখানায় বিস্ফোরণে ১২ জনের মৃত্যু হয়। পুলিশ তদন্ত শুরু করে জানতে পারে, এই কারখানাটি ভানু বাগের। পরে সে নিজেও মারা যায়। এক্ষেত্রে সেরকম কিছু না ঘটলেও স্থানীয় বাসিন্দারা রীতিমতো আতঙ্কে সিঁটিয়ে রয়েছেন। বিস্ফোরণের তীব্রতা এতটাই ছিল যে আশপাশের ৩-৪টি গ্রামের মানুষ তার আওয়াজ শুনতে পান।
এগরার ঘটনার এক বছর পেরোতে না পেরোতে ফের একই ধরনের ঘটনায় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। গত বছর, এগরার ঘটনার পর জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বাজি কাস্টার তৈরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়। কিন্তু বাস্তবে দেখা গেল, বছর পেরিয়ে গেলেও সে সব হয়নি। গ্রামে বাড়ির মধ্যে লুকিয়ে-চুরিয়ে বাজৈ তৈরির কারখানা চলছে আগের মতো। এই ধরনের বিস্ফোরণের ঘটনা প্রকাশ্য়ে এলে কিছুদিনের জন্য পুলিশি ধরপাকড় হয়, কয়েকদিন সব বন্ধ থাকে। তার পর আবার শুরু হয় বেআইনি বাজি কারখানার কাজ, অভিযোগ স্থানীয়দের অনেকের। সেই কারণেই কি বিস্ফোরণে লাগাম পরানো যাচ্ছে না? জোর চর্চা ফের।
আরও পড়ুন:তিন বারে একবারও পূর্ণ মন্ত্রী পায়নি বাংলা , 'এই অসম্মান কেন?', সমালোচনামুখর দেবাংশু