নয়াদিল্লি: বাংলা থেকে নরেন্দ্র মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা পেলেন শান্তনু ঠাকুর এবং সুকান্ত মজুমদার। দু-জনকেই প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছে। তৃতীয় মোদি সরকারেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী-বিহীন বাংলা। বাংলার ১২ জন সাংসদের মধ্যে কেউই পেলেন না পূর্ণ দায়িত্ব। এর আগে নরেন্দ্র মোদির দুই দফাতেও বাংলা থেকে কেউই পূর্ণ দায়িত্ব পাননি। প্রথম মোদি সরকারে বাংলা থেকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিল না। দ্বিতীয় মোদি সরকারেও বাংলা থেকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী ছিল না। তৃতীয় মোদি সরকারেও ক্যাবিনেট মন্ত্রী-বিহীন বাংলা। এবার তা নিয়ে কটাক্ষ উড়ে এল তৃণমূল শিবির থেকে। সোশ্যাল মিডিয়ায়, এ নিয়ে পোস্ট করে আক্রমণ শানাল তৃণমূল ও বামেরা।
২০১৯ সালে বাংলা থেকে রেকর্ড ১৮টি আসনে জিতলেও, কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী করা হয়েছিল সেই ২ জনকেই। বাবুল সুপ্রিয় ও দেবশ্রী চৌধুরী। -
পরে, এই দুজনকে সরিয়ে নিশীথ প্রামাণিক, শান্তনু ঠাকুর, জন বার্লা এবং সুভাষ সরকারকে মন্ত্রী করা হয়। কিন্তু, সবাই প্রতিমন্ত্রী। এই ট্রেন্ডকে বাংলা বিদ্বেষ হিসেবেই দেখছেন তৃণমূলের যুব নেতা ও তমলুকের পরাজিত প্রার্থী দেবাংশু ভট্টাচার্য। সোশ্যাল মিডিয়ায় দেবাংশুর প্রশ্ন , 'বাংলা থেকে ২০১৪-তে ২, ২০১৯-এ ১৮ ও ২০২৪ অর্থাৎ এবারে ১২ জন সাংসদ পেয়েছে বিজেপি। কিন্তু একবারও বাংলা পূর্ণ মন্ত্রী পায়নি। প্রতিবার বাংলাকে দুটি করে গরুর গাড়ির হেডলাইট দিয়েছে বিজেপি। এই অসম্মান কেন? এটাই প্রমাণ করে বিজেপির বাঙালি বিদ্বেষী মানসিকতা! ঠিক এই কারণেই এই বাংলা বিরোধী দলকে বাঙালি বিসর্জন দিয়েছে। আগামীতে বাংলা থেকে বিজেপির জন্য অপেক্ষা করছে আরও ভয়ঙ্কর প্রত্যাখ্যান।'
তৃণমূল নেতা জয়প্রকাশ মজুমদারের কটাক্ষ, একে বলা হয় হাফপ্যান্ট মন্ত্রী। এবারও মোদি সরকারে বাংলা থেকে কোনও পূর্ণমন্ত্রী হল না। এর থেকেই বোঝা যায় বিজেপির বাংলা বিদ্বেষ । এর পরিপ্রেক্ষিতে শুভেন্দুর যুক্তি, মন্ত্রিসভায় বাংলা থেকে দুজন প্রতিনিধি আছে, এতেই বাঙালি খুশি।
২০২৬-সালে বাংলায় বিধানসভা ভোট। তার আগে, বাংলা থেকে নরেন্দ্র মোদি কাউকে ক্যাবিনেট মন্ত্রী করেন কি না, সেটাই দেখার।
আরও পড়ুন :
তৃতীয়বারও রইলেন নির্মলা, মোদির মন্ত্রিসভায় এবার মহিলা কতজন জানুন
আপনার পছন্দের খবর আর আপডেট এখন পাবেন আপনার পছন্দের চ্যাটিং প্ল্যাটফর্ম হোয়াটস অ্যাপেও। যুক্ত হোন ABP Ananda হোয়াটস অ্যাপ চ্যানেলে