Continues below advertisement

সীমান্ত যেন জনসমুদ্র। যে সীমান্ত পেরিয়ে বেআইনি ভাবে এদেশে ঢুকে পড়েছিলেন, এবার সেই পথেই ফিরে যেতে চাইছেন  অনুপ্রবেশকারীরা। পশ্চিমবঙ্গে এসআইআর শুরু হতেই সীমান্তে দেশে ফেরার হিড়িক। কাতারে কাতারে মানুষের অপেক্ষআ।  কারও হাতে ভারতের ভোটার কার্ড, কারও হাতে আধার কার্ড । কেউ দীর্ঘদিন রেশন তুলেছেন, কেউ ২-৩ বার এখানে ভোটও দিয়েছেন। এমনকী এদেশের নাগরিক না হয়েই দিব্যি নিয়েছেন লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের টাকাও। পশ্চিমবঙ্গে SIR শুরুর পর পালানোর রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে সপরিবারে হাজির হয়েছেন স্বরূপনগরে। এবার তারাই ফেরার লাইনে। 

BSF সূত্রে খবর, চেকপোস্টে যাঁরা হাজির হয়েছেন, তাঁদের বায়োমেট্রিক তথ্য নেওয়া হচ্ছে। তারপর যাচাই করা হচ্ছে, ভারতে তাঁদের নামে কোনও অপরাধের রেকর্ড আছে কি না। নিশ্চিত হওয়ার পর তুলে দেওয়া হচ্ছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের হাতে । অবৈধভাবে এ দেশে আসা, অন্তত ১৭২০ জনকে ফেরত পাঠান হয়েছে বাংলাদেশে, খবর BSF ও পুলিশ সূত্রের। যাদের প্রত্যেকেই বাংলাদেশের নাগরিক। অবৈধ উপায়ে তাঁরা এসেছিলেন এ দেশে।

Continues below advertisement

BSF ও পুলিশ সূত্রে দাবি, গত ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে, স্বরূপনগরের হাকিমপুর ও তারালি থেকে সবচেয়ে বেশি বাংলাদেশি নাগরিককে বাংলাদেশে ফেরত পাঠানো হয়েছে। ফেরত পাঠানোর আগে ফরেনার্স আইডেন্টিফিকেশন পোর্টালে(FIP) এই সমস্ত বাংলাদেশি নাগরিকদের বায়োমেট্রিক, ফেশিয়াল ও ডেমোগ্রাফিক তথ্য সংগ্রহ করা হচ্ছে। সেই তথ্য পাঠানো হচ্ছে পুলিশ প্রশাসনের কাছে।  সেখানে পুলিশ খতিয়ে দেখছে, এ দেশের কোনওরকম অপরাধের সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন কিনা তাঁরা। পুলিশি ক্লিয়ারেন্স পেলে তবে পার করানো হচ্ছে তাদেরকে। এর মধ্যে এমন অনেক বাংলাদেশের নাগরিকদের হদিশ পাওয়া গেছে, যাদের কাছে এ দেশের একাধিক পরিচয়পত্রও রয়েছে। সেক্ষেত্রে, পুলিশের পাশাপাশি এইসমস্ত তথ্য আধার কর্তৃপক্ষের কাছেও পাঠানো হচ্ছে।  

কেউ মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন! কেউ যশোর বা সাতক্ষীরা থেকে কাজের খোঁজে দালাল ধরে এ পারে এসেছিলেন! তারপর কেটে গেছে বছরের পর বছর। SIR শুরু হওয়ার পর, ঘরে ফেরার জন্য হুড়োহুড়ি সীমান্ত চেকপোস্টে। এখন অপেক্ষা ওপারে ফেরার।             

অন্যদিকে, এক, দুটো নয়, নদিয়ার সীমান্তবর্তী কৃষ্ণগঞ্জের হুদো দিগম্বরপুরে গ্রামে SIR পর্ব শুরু হতেই গ্রাম ছেড়েছেন একাধিক পরিবার । আশ্রয় নিচ্ছেন বাংলাদেশে, এমনই অভিযোগ করছেন এলাকারই তৃণমূলের বুথ লেভেল এজেন্ট। ভোটার তালিকায় বিশেষ সংশোধনের ফর্ম দিতে বাড়ি যাচ্ছেন BLO, কিন্তু ঘরে নেই কেউ। এই অভিযোগ সামনে আসতেই শুরু হয়েছে রাজনৈতিক আকচাআকচি।