সুনীত হালদার, হাওড়া: ৪০ বছর ধরে এলাকায় বেআইনি মদের কারবার! হাওড়ায় (Howrah) মদ খেয়ে একের পর এক মৃত্যুর অভিযোগ ওঠার জেরে, স্থানীয় এক মদের ঠেকের মালিককে গ্রেফতার (Arrested) করেছে পুলিশ। ধৃতের বিরুদ্ধে, খুন, ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো এবং বিক্রি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। 


হাওড়ার মালিপাঁচঘরা থানা (Malipanchghara Police Station) থেকে মেরে কেটে ৫০ মিটার । গজানন বস্তি, এখানেই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে মদের একাধিক বেআইনি ঠেক! যেখানে রমরমিয়ে চলছিল ব্যবসা। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি, এখানে মদ খাওয়ার পর থেকেই, অসুস্থ হতে শুরু করেন অনেকে। 


মৃত ব্যক্তির আত্মীয় মাধবী দলুই-এর কথায়, স্বামীরা যা উপায় করেন তারা মদেই খরচ করে দেয়। ফলে সংসারে অভাব লেগেই থাকে । তাই মদ বিক্রির বিরুদ্ধে তারা লাগাতার লড়াই চালাবেন। বুধবারই গ্রেফতার করা হয় মদের ঠেকের মালিক, প্রতাপ কর্মকারকে (৫৮) । 


সূত্রের খবর, প্রায় ৪০ বছর ধরে, তাঁর বেআইনি মদের কারবার। অভিযোগ, দেশি মদের সঙ্গে চোলাই, ঘুমের ওষুধ ও রাসায়নিক মিশিয়ে বিক্রি করতেন তিনি।


জানা গিয়েছে, গজানন বস্তির একটি খাটালের মধ্যে একটি ছোট ঘরে দেশি এবং চোলাই মদ মিশিয়ে জাল মদ তৈরি করত প্রতাপ এবং তার কর্মীরা। তারা দুই ধরনের মদ মেশানোর পাশাপাশি তাতে নানা ধরনের রাসায়নিক এবং ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে মদকে আরো শক্তিশালী করে সস্তায় এলাকার গরিব লোকেদের বিক্রি করত। কাঁচামাল আসতো ছোট ছোট টোটোয় করে। মদ বিক্রি করা হতো এলাকার চার পাঁচটি ঘুপচি ঘর থেকে ।


এই কারবার করে তিনতলা বাড়ি বানিয়েছিলেন অভিযুক্ত প্রতাপ কর্মকার। এলাকায় বেশ প্রভাবশালী হয়ে উঠেছিলেন বলে দাবি। ধুরন্ধর রায় নামে ঘুসুড়ির এক বাসিন্দা বলছেন, কাঁচামাল আসতো ছোট ছোট টোটোয় করে। মদ বিক্রি করা হতো এলাকার চার পাঁচটি ঘুপচি ঘর থেকে ।