সমীরণ পাল, উত্তর ২৪ পরগনা: এবার নকল সিমেন্ট কারখানার হদিশ মিলল। কারখানার মালিককে গ্রেফতার করেছে আমডাঙা থানার পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে গতকাল রাতে রাজবেড়িয়া বৈকুণ্ঠপুরে অভিযান চালানো হয়। উদ্ধার হয় প্রায় দেড়শো বস্তা নকল সিমেন্ট। পুলিশের দাবি, দামী ব্র্যান্ডের সিমেন্টের সঙ্গে জমে যাওয়া সিমেন্ট গুঁড়ো, মাটি-ছাই মিশিয়ে বস্তাবন্দি করে বাজারে বিক্রি করা হত। কারখানা সিল করে দিয়েছে পুলিশ। এই কারবারে আর কারা জড়িত খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এর আগে বারাসতে মিলেছিল বেআইনি জলের কারখানা। গতমাসেই উত্তর ২৪ পরগনার দত্তপুকুরে বেআইনি জলের কারখানার হদিশ পায় পুলিশ। গোপন সূত্রে খবর পেয়ে অভিযান চালায় বারাসাত পুলিশ জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। সঙ্গে ছিলেন ফুড সেফটি অফিসার। একাধিকবার উত্তর ২৪ পরগনায় নকল জল তৈরির কারবারের পর্দাফাঁস করে পুলিশ। উধাও দুই মালিকের খোঁজ শুরু হয়। এতেই শেষ নয়, পুলিশি অভিযানের পরই ওই এলাকার আরও কয়েকটি কারখানায় ঝাঁপ বন্ধ হয়ে গিয়েছে।
বারাসতে নকল জল তৈরির কারখানার হদিশ মেলার পর সাতদিনের মাথাতেই এমন কারখানার খোঁজ পেয়েছিল পুলিশ। এবার একই জেলার দত্তপুকুরে। দত্তপুকুরের নেতাজি পল্লিতে অভিযান চালিয়েছে জেলার এনফোর্সমেন্ট ব্রাঞ্চ। আধিকারিকদের আসার আগেই অবশ্য গা ঢাকা দেন কারখানার মালিক।
কারখানা থেকে ২০ লিটারের জার ও লেবেল উদ্ধার হয়। অভিযানের খবর পেয়ে এলাকার আরও কয়েকটি কারখানায় ঝাঁপ পড়ে। কয়েকজন অবশ্য কারখানা চালানোর কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। যেমন মনোতোষ বর। তাঁর সোজাসাপটা বক্তব্য, কী করব, এলাকায় পানীয় জলের অভাব, তাই নকল জলের কারখানা খুলেছি।
স্থানীয়দেরও দাবি, এলাকার অধিকাংশ টিউবওয়েল খারাপ। তারপর জলে রয়েছে আর্সেনিক। তাই ব্যাঙের ছাতার মতো গজিয়ে উঠেছে এসব কারখানা। যদিও পশ্চিম চিল্কাপুর পঞ্চায়েত সদস্য ও তৃণমূল নেতা জগবন্ধু অধিকারীর দাবি, এখানে পানীয় জলের কোনও সমস্যা নেই। আর এই সব কারখানার লাইসেন্স তাঁরা দেননি, সবই আগের বোর্ডের দেওয়া।
পুলিশ জানায়, স্বাস্থ্য বিধির তোয়াক্কা না করে বেআইনি কারখানাগুলি চলছে। অভিযুক্তদের খোঁজ চলছে।