কৃষ্ণেন্দু অধিকারী ও দীপক ঘোষ, জলপাইগুড়ি:  পুরভোটের আগে নির্বাচনের টিকিট পাওয়া নিয়ে কম নাটক হয়নি। তার পরেও পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election 2023) নিয়ে আপসে যেতে নারাজ তৃণমূলের (TMC) সর্বভারতীয় সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তাঁর সাফ বার্তা, কোও দাদা-দিদির পা ধরে লাভ নেই। গ্রহণযোগ্যতা থাকলে, তবেই টিকিট মিলবে। ২১ জুলাই, দলের শহিদ স্মরণ দিবসে (21 July) রিপোর্ড কার্ড নিয়ে আশার কথাও বলতে শোনা যায় অভিষেককে। 


পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে কড়া বার্তা অভিষেকের


সম্প্রতি পুরভোটে প্রার্থী ঠিক করা নিয়ে তৃণমূলের অন্দরে বিস্তর অসন্তোষ, ক্ষোভ-বিক্ষোভ কম হয়নি। তার জেরে প্রথম, দ্বিতীয় তালিকা ঘিরে ধুন্ধুমার পর্যন্ত বাধে। সেই পর্ব কাটিয়ে উঠলেও, বছর ঘুরলেই পঞ্চায়েত ভোট। আর ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত ভোট মানেই নতুন করে হইচই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। তা ঠাহর করেই টিকিট বিলি নিয়ে কার্যত গাইডলাইন বেধে দিলেন অভিষেক। 
তিন স্তর মিলিয়ে প্রায় ৫৮ হাজার আসনে ভোট।


মঙ্গলবার জলপাইগুড়ির ধূপগুড়ি থেকে অভিষেক বলেন, "মানুষের কাছে সার্টিফিকেট পেলে আপনি টিকিট পাবেন। তৃণমূলের পঞ্চায়েতের প্রার্থী আপনি তবেই হতে পারবেন। যদি মানুষের মধ্যে আপনার গ্রহণযোগ্যতা থাকে, টিকিট মিলবে। অন্যথায় কোনও দাদার পা ধরে, কোনও দিদির পা ধরে, কোনও লোকাল নেতা-নেত্রীর পা ধরে লাভ নেই।"


আরও পড়ুন: Abhishek Banerjee: মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় থাকতে বাংলাভাগ হতে দেব না : অভিষেক


কী করলে পঞ্চায়েতে টিকিট পাওয়া যাবে, আর কী করলে পাওয়া যাবে না, কার্যত তার শৃঙ্খলা পাঠও দিলেন অভিষেক। তাঁর কথায়, "যেখানে আমাদের ফল খারাপ হয়েছে, প্রত্যেকটা বুথে আমাদের এখন থেকে ঢুকতে হবে। এখানে যাঁরা মঞ্চে বসে আছেন, আমি সকলকে অনুরোধ করব যে আগামী দু’মাসের মধ্যে প্রত্যেকটা বুথে আমাদের কর্মসূচি নিতে হবে। এই মঞ্চে যাঁরা বসে আছেন, ৭ দিন পর কলকাতায় যাবেন, ২১শে জুলাই ঐতিহাসিক সমাবেশে যোগদান করতে, যখন আসবেন হাতে করে প্রত্যেকে একটা রিপোর্ট বুকে করে নিয়ে আসবেন যে, গত ১ বছরে কে কটা বুথে গিয়েছে, সেই রিপোর্ট আমি দেখতে চাই।"


পঞ্চায়েত নির্বাচন ঘিরে সাজো সাজো রব


এ দিকে, পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে মঙ্গলবারই মুরলীধর সেন লেনের দফতরে বৈঠকে বসে বিজেপি। বুথ শক্তিশালী করতে ইতিমধ্যেই উঠেপড়ে লেগেছে তারা। সম্প্রতি হায়দরাবাদে জাতীয় কর্মসমিতির বৈঠকেও বুথ স্বশক্তিকরণ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন নরেন্দ্র মোদি-জেপি নাড্ডা-অমিত শাহরা।