সুকান্ত মুখোপাধ্যায়, কলকাতা : নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ( Bengal Recruitment Scam ) এবার কলকাতার তিন অভিজাত হোটেলের কফি শপের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ চেয়ে পাঠাল ইডি ( ED ) ।
সূত্রের খবর, ওই কফি শপগুলিতে হয়েছে একাধিক বৈঠক হয়েছে। ইডি-র দাবি, শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে জেরায় এই তথ্য মিলেছে। শান্তনু ও কুন্তল ঘোষ ছাড়া বৈঠকে কারা থাকতেন, তা জানতেই শহরের তিন অভিজাত হোটেলের কফি শপের ক্লোজ সার্কিট ক্যামেরার ফুটেজ চাওয়া হয়েছে বলে ইডি সূত্রে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ধৃত কুন্তল ঘোষ এবং শান্তনু বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে অবশেষে দল থেকে বহিষ্কার করেছে তৃণমূল। কুন্তলের ক্ষেত্রে পদক্ষেপ নেওয়া হয় গ্রেফতারির ৫২ দিনের মাথায়। আর শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়ের ক্ষেত্রে গ্রেফতারির পাঁচ দিনের মাথায় বহিষ্কারের কথা জানায় তৃণমূল।
আরও পড়ুন :
মুখ্যমন্ত্রীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ বিকাশরঞ্জনের
২১ জানুয়ারি, গ্রেফতার হন, যুব তৃণমূলের সম্পাদক কুন্তল ঘোষ। তাঁর বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নামে কোটি কোটি টাকা তোলার অভিযোগ ওঠে। শুক্রবার, গ্রেফতার করা হয়, হুগলির আরেক তৃণমূল নেতা ও জেলা পরিষদের পরিষদের জন স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায়কে। হুগলিজুড়ে ছড়িয়ে রয়েছে তাঁর সাম্রাজ্য! প্রাসাদপোম বাড়ি, গাড়ি, রেস্তোরাঁ, গেস্টহাউস, কী নেই সেই তালিকায়! গত ১২ মার্চ, ইডি দাবি করে , যুব তৃণমূল নেতা শান্তনু বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন, চাকরি-বিক্রিতে জড়িত তৃণমূলের অনেক নেতাই। কেন্দ্রীয় এজেন্সির দাবি, জেরায় শান্তনু দাবি করেছেন, শুধু চাকরিপ্রার্থীরা নন, তৃণমূলের অনেক সদস্যও চাকরি পেতে তাঁদের নথি পৌঁছে দিয়েছেন তৃণমূল নেতাদের কাছে। কাদের কাছে পৌঁছে দেওয়া হয়েছিল নথি? কীসের বিনিময়ে চাকরির প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল? শান্তনুকে জেরা করে সেসব জানার চেষ্টা করছে ইডি-র তদন্তকারীরা। ইডি সূত্রে খবর, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে নগদ ও সোনাদানা মিলিয়ে ১১১ কোটি টাকা উদ্ধার ও বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এরপরও একের পর এক সম্পত্তি সামনে আসে । অস্বস্তির মুখে অবশেষে, মঙ্গলবার দলের দুই নেতার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছে তৃণমূল।
প্রসঙ্গত, নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ধৃত কুন্তল ঘোষের সঙ্গে অভিনেতা বনি সেনগুপ্তর আর্থিক লেনদেন সামনে আসার পর থেকেই তোলপাড় টালিগঞ্জ। চাকরি চুরির টাকা কি বাংলা সিনেমা জগতেও ঢুকেছে? সেই প্রশ্ন জোরালভাবে উঠছে।