পার্থপ্রতিম ঘোষ, কৌশিক গাঁতাইত , সন্দীপ সরকার, কলকাতা :  পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল STF। উদ্ধার হয়েছে নাইন MM কার্বাইন, পিস্তল ও ওয়ান শটার। পরপর অস্ত্র উদ্ধার হচ্ছে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে। আর এটাকেই হাতিয়ার করেছে রাজ্যের বিরোধী শিবির ।


স্বাধীনতা দিবসের আগে চুঁচুড়া থানা এলাকা থেকে উদ্ধার
স্বাধীনতা দিবসের প্রাক্কালে চুঁচুড়া থানা এলাকা থেকে উদ্ধার হয় বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র, গুলি ও বিস্ফোরক। ইমামবাড়া হাসপাতালে দুষ্কৃতীকে খুনের চেষ্টার পর থেকেই তল্লাশি অভিযান শুরু করে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয় ৮ জনকে।


কয়লা খনি এলাকা থেকে উদ্ধার AK 47
১৭শে অগাস্ট, উত্তর ২৪ পরগনার শাসন থেকে আল কায়দা জঙ্গি সন্দেহে দু’জনকে গ্রেফতার করে বেঙ্গল STF। ২৭  অগাস্ট, পুলিশের অভাযানে পশ্চিম বর্ধমানের পাণ্ডবেশ্বরের কয়লা খনি এলাকা থেকে উদ্ধার AK 47-এর মতো ৫টি অত্যাধুনিক আগ্নেয়াস্ত্র ও ৮ রাউন্ড গুলি।

ডায়মন্ড হারবার থেকে জঙ্গি সন্দেহে গ্রেফতার
এর ৭ দিনের মাথায়, ডায়মন্ড হারবার থেকে জঙ্গি সন্দেহে ২ জনকে গ্রেফতার করে STF। আর সোমবার সকালে, পশ্চিম বর্ধমানের সালানপুর থেকে বিপুল আগ্নেয়াস্ত্র-সহ দু’জনকে গ্রেফতার করল তারা।


কী কী আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার 
গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সোমবার সকালে আসানসোলের সালানপুর থানা এলাকায় অভিযান চালায় রাজ্য পুলিশের STF। বাংলা-ঝাড়খণ্ড সীমানাবর্তী নারায়ণপুরে বিহার রোড থেকে দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়। STF সূত্রে দাবি, ধৃতদের থেকে ২টো নাইন MM কার্বাইন, ২টো সেভেন MM পিস্তল, ৩টে নাইন MM পিস্তল, ৫টা ওয়ান শটার ৩টে কার্বাইনের ম্যাগাজিন ও ৩৫ রাউন্ড গুলি উদ্ধার হয়েছে। ধৃত দু’জনের বাড়ি বিহারের ভোজপুরে। প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান,  বিহারের মুঙ্গের থেকে আগ্নেয়াস্ত্রগুলো আনা হয়েছে। অস্ত্রগুলো এখানে ডেলিভারি দিতে এসেছিল।


আগামী বছর রাজ্যে পঞ্চায়েত ভোট। তার আগে পরপর অস্ত্র উদ্ধারে তুঙ্গে উঠেছে রাজনৈতিক তরজা। কী উদ্দেশ্যে এত অস্ত্র আনা হয়েছিল? কোথায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছিল? কাদের জন্য এত অস্ত্র দিতে এসেছিল? তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে STF সূত্রে খবর। ধৃতদের ১৪ দিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত।