মালদা: গত ৮ মাসে ১০ বার দুষ্কৃতীদের টার্গেট হয়েছে রাজ্যের বিভিন্ন সোনার দোকান! তাহলে কি গলদ রয়েছে প্রশাসনের নিরাপত্তা ব্য়বস্থায়? পুলিশি তৎপরতায় ঘাতটি? উৎসবের লোকারণ্য শহরে তাহলে কীভাবে দুষ্কৃতী হামলা হতে পারে সোনার দোকানে? গতকাল মালদায় সোনার দোকানে ডাকাতির ঘটনার পর ফের একাধিক প্রশ্ন উঠছে। বারবার একই ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়েও স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠছে। গতকাল এই নিয়ে সরব হন কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন আইজি পঙ্কজ দত্ত। 


কোথায় কোথায় ডাকাতির ঘটনা?



  • ২১ অক্টোবর: নদিয়ার কল্যাণীতে সোনার দোকানে গান পয়েন্টে ডাকাতির ঘটনা ঘটে। 

  • ১৭ অক্টোবর: আমডাঙার দারিয়াপুরে সোনার দোকানে ডাকাতি হয়। 

  • ২৯ সেপ্টেম্বর: খড়গপুরে সোনার দোকানে ডাকাতিতে বাধা পেয়ে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা।

  • ৬ সেপ্টেম্বর: উলুবেড়িয়ায় স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে গুলি করে গয়না-টাকা লুঠ করা হয়। 

  • ২৯ অগাস্ট: পুরুলিয়ার সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসে ডাকাতির ঘটনা ঘটে।

  • ২৯ অগাস্ট: একই দিনে রানাঘাটে সেনকো গোল্ড অ্যান্ড ডায়মন্ডসেও হানা দেয় ডাকাতদল।

  • ২৫ অগাস্ট: শক্তিগড়ের গাংপুরে সোনার দোকানের মালিককে লক্ষ্য করে গুলি চালায় দুষ্কৃতীরা। 

  • ২৭ জুন: মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে ডাকাতি, খুন হতে হয় এক সিভিক ভলান্টিয়ারকে। 

  • ২৪ মে: ব্যারাকপুরের আনন্দপুুরীতে সোনার দোকানের মালিকের ছেলেকে গুলি করে খুন করে ডাকাতরা।


 বড়দিনের সন্ধেয় মালদার চাঁচলে সোনার দোকানে দুঃসাহসিক ডাকাতি! ঘটনাস্থল মালদার চাঁচল। ক্রেতা সেজে দোকানে ঢুকে সর্বস্ব লুঠ করে দুষ্কৃতীরা। মাত্র ৫ মিনিটের নিখুঁত অপারেশন!গতকাল এই ঘটনার পর বিক্ষোভ দেখান বাসিন্দারা। প্রথমে বন্দুক উঁচিয়ে শাসানি! তারপর, গুলি চালাতে চালাতেই মোটরবাইক নিয়ে চম্পট! ফের মালদা!
বড়দিনের সন্ধে! অন্য়ান্য দিনের তুলনায় ভিড় বেশিই ছিল রাস্তায়। প্রত্যক্ষদর্শীদের দাবি, সোমবার সন্ধে ৭টা ১৫ নাগাদ চাঁচলের ঢাকা জুয়েলার্সে ক্রেতা সেজে ২টি মোটরবাইকে করে এসে, ৫ জন দোকানে ঢুকে পড়ে এরপর, আগ্নেয়াস্ত্র দেখিয়ে শুরু হয় লুঠপাট। 


এই ডাকাতির ঘটনায় বিহার-যোগ মিলেছে। ৫ দুষ্কৃতীর মধ্যে ২ জন বিহারের বাসিন্দা বলে অনুমান করছে পুলিশ। বাকি ২ দুষ্কৃতী উত্তর দিনাজপুরের বাসিন্দা বলে ধারণা পুলিশের। এলাকা ও আশেপাশের বিভিন্ন রাস্তার সিসি ক্যামেরার ফুটেজ খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ডাকাতরা কোন পথে পালিয়েছে, তার রুট ম্যাপ তৈরির চেষ্টা করছে পুলিশ। চাঁচলের একদিকে উত্তর দিনাজপুরের ইটাহার, রায়গঞ্জ। অন্যদিকে, বিহারের কাটিহার আর ঝাড়খণ্ডের সাহেবগঞ্জ। চাঁচল থেকে বিহারে পৌঁছতে সড়কপথে সময় লাগে মাত্র একঘণ্টা। চাঁচল ও বিহারের বারসোইয়ের মধ্যে দূরত্ব ৩১ কিলোমিটার। ফলে ডাকাতদের বিহার বা ঝাড়খণ্ডে পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকতে পারে বলে মনে করছে পুলিশ।