রঞ্জিত সাউ, কলকাতা: সাইবার-প্রতারণার (Cyber Crime) শিকার খোদ কলকাতা পুলিশের এসিপি-র আত্মীয়া। বন্ধন ব্যাঙ্কে (Bandhan Bank) চাকরি দেওয়ার নামে লক্ষাধিক টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল প্রতারকদের বিরুদ্ধে। ভুয়ো নিয়োগপত্রও (Recuitment) দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। তদন্তে নেমে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ মেলে। প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডাকে গ্রেফতার করে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।


একেবারে বাঘের খাঁচায় ঢুকে শিকার ধরার মতো ঘটনা। চাকরি-প্রতারণার ফাঁদে খোদ পুলিশ অফিসারের আত্মীয়া ওয়ার্ক ফ্রম হোমের আড়ালে প্রতারণার কারবার। ভুয়ো নিয়োগপত্র দিয়ে টাকা হাতানোর অভিযোগ।


পুলিশ সূত্রে খবর,চলতি মাসে বন্ধন ব্যাঙ্কের তরফে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানায় অভিযোগ দায়ের হয়। অভিযোগে বলা হয়, কলকাতা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার ঈপ্সিতা ভট্টাচার্যর এক আত্মীয়া একটি ওয়েবসাইট মারফত ওই বেসরকারি ব্যাঙ্কে চাকরির আবেদন করেন। 


অভিযোগ, ওই চাকরিপ্রার্থীকে ফোন করে চাকরির প্রতিশ্রুতি দিয়ে ১ লক্ষ ২২ হাজার টাকা জমা করতে বলা হয়। ব্যাঙ্কের নিয়োগপত্র পাওয়ার পর টাকা জমা করেন পুলিশ অফিসারের আত্মীয়া। এরপর ব্যাঙ্কের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায়, নিয়োগপত্রটি ভুয়ো। ই-মেল ও ওয়েবসাইটও ভুয়ো বলে জানা যায়। এই নিয়ে বেসরকারি ব্যাঙ্কের কাছে অভিযোগ জানান কলকাতা পুলিশের এসিপি। তদন্তে নেমে ভুয়ো কল সেন্টারের হদিশ পায় বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।


পুলিশের দাবি,কোনও অফিসের ঠিকানায় নয়, ওয়ার্ক ফ্রম হোমের আড়ালে চলত ভুয়ো কল সেন্টার। ভুয়ো ওয়েবসাইট (Website) ও ই-মেল আইডি বানিয়ে চাকরির বিজ্ঞাপন দিয়ে টোপ দেওয়া হত।ফাঁদে পা দিলেই মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নেওয়া হত বলে অভিযোগ। শুক্রবার নদিয়ার রানাঘাটে (Ranaghat) হানা দিয়ে প্রতারণা চক্রের দুই পাণ্ডা ঋষভ বাছার ও নিলয় দে-কে গ্রেফতার করে পুলিশ।                                              


ধৃতদের কাছ থেকে উদ্ধার হয় ১১টি মোবাইল ফোন, ৬টি ব্যাঙ্কের এটিএম কার্ড, পাস বই, ২টি সিমকার্ড ও একটি ল্যাপটপ। চাকরি-প্রতারণা চক্রে আর কারা জড়িত, খতিয়ে দেখছে বিধাননগর সাইবার ক্রাইম থানার পুলিশ।  


আরও পড়ুন: Mamata Banerjee ‘ঠিক সময়ে ইন্টেলিজেন্স কাজ করলে এটা ঘটত না’, এগরাকাণ্ডে গোয়েন্দা ব্যর্থতা স্বীকার মুখ্যমন্ত্রীর