নয়া দিল্লি: আজকের সময়ে দাঁড়িয়ে এই ঘটনাকে সত্য হিসেবে মনে না হলেও ভৌগলিকভাবে এই তথ্য সম্পূর্ণ সত্য। পৃথিবীতে এমনই একটি রাস্তা রয়েছে যা সারাদিনে মাত্র ২ ঘণ্টার জন্য দেখা যায়। তারপর সারাদিনে আর দেখা যায় না এটিকে। এই বিষয়টি নিয়ে রহস্যও কম নয়। এই রাস্তাটি যথেষ্ট বিপজ্জনকও। একাধিক ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটেছে এই রাস্তায়।
রাস্তার দৈর্ঘ্য ৪.৫ কিলোমিটার
ফ্রান্সের এমন একটি রাস্তা রয়েছে যা দিনে মাত্র দু'বারই দেখা যায়। এই রাস্তাটি মূল ভূখণ্ডের সাথে নয়ারমাউটিয়ার দ্বীপের সংযোগ স্থাপন করে। এই স্থানটি ফ্রান্সের আটলান্টিক উপকূলে অবস্থিত। এই রাস্তাটি ৪.৫ কিলোমিটার দীর্ঘ। তবে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ এই রাস্তা।
ফ্রান্সে এই রাস্তাটি Passage du gois- নামে পরিচিত। ফরাসি ভাষায়, 'gois' মানে 'ভেজা জুতো' নিয়ে রাস্তা পারাপার করা। প্রকৃতপক্ষে, এই রাস্তাটি দিনে ২ ঘণ্টা দেখা যায়। বাকি সময় এটি জোয়ারের কারণে জলে ডুবে থাকে। ফলে সমুদ্রের অতলে থাকায় রাস্তাটি আর দেখা যায় না।
রাস্তা পার হওয়া খুবই বিপজ্জনক
এই রাস্তাটি ১৭০১ সালে মানচিত্রে প্রথম স্থান পেয়েছিল। এই রাস্তা পার হওয়া খুবই বিপজ্জনক। দিনে দু'বার ১ বা ২ ঘন্টা জলের ওপরে থাকার পরে, হঠাৎ রাস্তার জলের স্তর দু'দিক থেকে বাড়তে শুরু করে। তখন এর গভীরতা ১.৩ মিটার থেকে ৪ মিটার পর্যন্ত পরিবর্তিত হয়।
প্রতিবছর এ রাস্তায় বহু মানুষ দুর্ঘটনার শিকার হন। আগে এখানে শুধু নৌকায় করে মানুষ আসতেন। পরবর্তীতে বোর্নিউফ উপসাগরে পলি জমতে শুরু করে। ধীরে ধীরে সেখানে পাকা রাস্তা তৈরি করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১৮৪০ সালে এখান থেকে গাড়ি ও ঘোড়ার মাধ্যমে মানুষ আসা-যাওয়া শুরু করে। ১৯৮৬ সাল থেকে, এখানে একটি অনন্য রেসও আয়োজন করা হয়। ১৯৯৯ সালে, এই রাস্তাটি ফ্রান্সের বিখ্যাত সাইকেল রেস 'ট্যুর ডি ফ্রান্স'-এর জন্যও ব্যবহৃত হয়েছিল।
আরও পড়ুন, আপনার স্বপ্নে কি মাঝেমধ্যে কোনও ব্যক্তি উপস্থিত হয়? এর নেপথ্যে কী কারণ রয়েছে?