সুনীত হালদার, হাওড়া: দরজায় কড়া নাড়ছে স্বাধীনতা দিবস। বাড়ি বাড়ি, ক্লাব, স্কুল অথবা সরকারি দফতরে জাতীয় পতাকা উত্তোলন। তাই স্বাধীনতা দিবসের আগে পতাকা তৈরিতে ব্যস্ত উনসানির কারখানার শ্রমিকরা। নাওয়া খাওয়া ভুলে তারা কাজ করে চলেছেন। যেভাবেই হোক মানুষের কাছে পৌঁছে দিতে হবে প্রয়োজনীয় জাতীয় পতাকা। 

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে কেন্দ্রীয় সরকার দেশ জুড়ে "হর ঘর তেরঙ্গা"-র ডাক দিয়েছে। এর ফলে বেড়েছে জাতীয় পতাকার চাহিদা। জগাছার উনসানি এলাকায় পতাকা তৈরীর কারখানা গুলিতে এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে।                                                                                                                                

গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে এখানকার শ্রমিকরা হাড় ভাঙা খাটুনি খেটে ১৩ টি মাপের তেরঙ্গা পতাকা তৈরি করে চলেছেন। ৮/১২ ইঞ্চি থেকে ৪৮/৭২ ইঞ্চি পর্যন্ত সাইজ। দাম ৫ টাকা থেকে ১৫০ টাকা পর্যন্ত। এখানকার শ্রমিকদের হাতে তৈরি পতাকা শুধু পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন জেলা নয় দেশের বিভিন্ন রাজ্যে ছড়িয়ে পড়ছে।

সেখানাকার কারিগরা জানাচ্ছেন, অসম, ওড়িশা, বিহার এমনকি দিল্লি থেকেও অর্ডার আসছে। কলকাতার বড়বাজারের ব্যবসায়ীরা এখানকার কারখানা গুলি থেকে পাইকারি দামে পতাকা নিয়ে যান এমনটাই জানিয়েছেন তাঁরা। সেখান থেকে বাইরের জেলাগুলিতে সরবরাহ করে। কারিগররা জানাচ্ছেন গত আড়াই মাসের বেশি সময় ধরে প্রতিদিন প্রায় ১৬ ঘণ্টা ধরে কাজ করে চলেছেন। বিশ্রাম নেই বললেই চলে। উদ্দেশ্য একটাই, যেভাবেই হোক চাহিদা অনুযায়ী জাতীয় পতাকা যোগান দেওয়া। 

একটি কারখানার মালিক রাজু হালদার বলেন, "প্রত্যেক বছরের মতো এ বছরেও জাতীয় পতাকার চাহিদা বেশ ভালো। শুধু এই রাজ্য নয় বাইরের রাজ্যগুলি থেকেও বড় ধরনের অর্ডার আসছে। তাই তারা দিন রাত এক করে কাজ করে চলেছেন।"  তিনি আরও বলেন, "জাতীয় পতাকার সঙ্গে এক ধরনের আবেগ জড়িয়ে আছে। মনে হয় দেশের জন্য কাজ করছি। তাই এই কাজ করতে খুব ভাল লাগে। আমরা গর্বিত।"