নয়া দিল্লি: ভারতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা । ৬ হাজারের গন্ডি শুক্রবারই পেরিয়েছিল ভারতের দৈনিক কোভিড সংক্রমণ। শুক্রবার স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে প্রকাশিত বুলেটিন অনুয়ায়ী গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে নতুন করে কোভিড সংক্রমিত হন ৬০৫০ জন। শনিবার তা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুয়ারে, গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৬১৫৫ জন কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন। এর ফলে দেশে কোভিডের সক্রিয় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হল ৩১,১৯৪ হল।
করোনায় মৃত্যু
স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্য অনুসারে, গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনা ভাইরাসের কারণে ৯ জন মারা গেছে। এর ফলে করোনায় আক্রান্ত হয়ে মোট মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দাঁড়াল ৫,৩০,৯৫৪। শনিবার মন্ত্রকের প্রকাশিত তথ্য অনুসারে সুস্থ হওয়া মানুষের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৪,৪১,৮৯,১১১।
টিকাকরণের পরিসংখ্যান
গত ২৪ ঘন্টায় মোট ১৯৬৩ টি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে। ২০২১ সালের ১৬ জানুয়ারি দেশব্যাপী টিকাদান অভিযান শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত মোট ২০০.৬৬ কোটি টিকার ডোজ দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রের নির্দেশ
কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা প্রতিদিন বাড়ছে, কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির স্বাস্থ্যমন্ত্রীদের সাথে জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত প্রস্তুতির পর্যালোচনা করার জন্য একটি উচ্চ-স্তরের বৈঠক করেন। তিনি রাজ্যগুলিকে জরুরি ভিত্তিতে হটস্পটগুলি চিহ্নিত করার নির্দেশ দেন। রাজ্যগুলিতে করোনা পরীক্ষা বাড়ানোর উপর জোর দিয়েছে কেন্দ্র। হাসপাতালের পরিকাঠামোর প্রস্তুত করার কথা বলেন কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী।
কেন বাড়ছে কোভিড?
দেশে ক্রমাগত ঊর্ধ্বগামী দৈনিক কোভিড সংক্রমণের ছবি। বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যারিয়েন্ট XBB.1.16- এটাই এখন কোভিড সংক্রমণের বৃদ্ধির জন্য দায়ী। বিজ্ঞানীদের মতে ভারতের জনগণের শরীরে স্বাভাবিক উপায়ে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা যেমন এসেছে, তার সঙ্গেই রয়েছে টিকাজনিত প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেই কারণেই সংক্রমণ বৃদ্ধি পেলেও সেভাবে হাসপাতালে ভর্তির ঘটনা দেখা যাচ্ছে না। যদিও আগেভাগেই সাবধান হতে বলছেন বিজ্ঞানীরা। ভিড়ের মধ্যে মাস্ক পরতে বলছেন। টিকা না নেওয়া হয়ে থাকলে তা নিয়ে নিতে বলছেন। এর আগেও নরেন্দ্র মোদি কোভিড পরিস্থিতি নিয়ে মিটিং করেছেন। সেখানেও একাধিক পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল, যার মধ্যে অন্যতম ছিল মাস্ক পরা।